রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত ফেস্টুন ও ব্যানার ভাঙচুরের ঘটনায় বিচার দাবি করে একই দিনে পৃথক পৃথক ভাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় শহীদ মহিউদ্দিন আনছার ক্লাবের শহীদ মিনার চত্বরে গোয়ালন্দ উপজেলা যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ সংবাদ সম্মেলন করে এবং একই দিনে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে গোয়ালন্দ উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ।
যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দেখতে চাই’ দাবিতে আমরা ঢাকাণ্ডখুলনা মহাসড়কে গত ১০ সেপ্টেম্বর ফেস্টুন ও ব্যানার টাঙিয়ে দেই। কিন্তু ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে অপ্সাতরা সেগুলো ভাঙচুর করে। যা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংবলিত ছিল। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।এ ঘটনায় সংগঠনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৬ সেপ্টেম্বর ইমরানুর রহমান সজল বাদী হয়ে গোয়ালন্দ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
যুবলীগের সভাপতি মো. ইউনুস মোল্লার সভাপতিত্বে উপজেলা যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন- উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী আসাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনায়েত হোসেন জাকির, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মাহাবুব রাব্বানী,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস পুরি প্রমুখ।
অপরদিকে গোয়ালন্দ উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টির নিন্দা জানায় এবং এটিকে অপপ্রচার ও গোয়ালন্দের রাজনীতিকে কলুষিত করতে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করে।
গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব ঘোষ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে বলেন, ‘রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীর গতিশীল নেতৃত্বে এবং নানা সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে গোয়ালন্দের রাজনীতিতে যখন সুবাতাস বইছে, সেই মুহূর্তে একটি মহল সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের পুনর্বাসনের জন্য গোয়ালন্দের রাজনীতিকে বিতর্কিত করার জন্যই ষড়যন্ত্র করছে। তবে কেউ যাতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে, সেজন্য প্রশাসনের দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’
গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুরুজ্জামান মিয়ার সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোস্তফা মুন্সী, শহিদুল ইসলাম খান,মামুন অর রশিদ,ফকির আমজাদ হোসেন, মোহাম্মদ আলী মোল্লা,নাসির উদ্দিন রনি, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজরুল ইসলাম মন্ডল,সাধারন সম্পাদক সফিকুল ইসলাম সুজ্জল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এ বি এম বাতেন ,ছাত্রলীগের সভাপতি তুহিন দেওয়ান, সাধারন সম্পাদক আবির হোসেন হৃদয়,প্রমুখ।