পাহাড়ি ঢলের পানিতে শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার মাহারশি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলা সদরসহ ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়ন, মালিঝিকান্দা, হাতিবান্ধা ও গৌরিপুর ইউনিয়নের আংশিক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ঢলের স্রােতে ইতোমধ্যে উল্লিখিত ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তলিয়ে গেছে বিভিন্ন পুকুর এবং ওইসব এলাকায় কয়েক হাজার একর রোপা আমন।
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টম্বর) দুপুর থেকে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মহারশি নদীর পানি হঠাৎ করেই বৃদ্ধি হয়ে ঘন্টা খানিকের মধ্যেই উপজেলা চত্ত্বরের ১২ থেকে ১৩ টি দপ্তরের অফিসের ভিতর পানি প্রবেশ করে। এরপর ঝিনাইগাতীর প্রধান সড়কসহ বাজারের বিভিন্ন দোকানপাট এবং আবাসিক এলাকার বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে পানি প্রবেশ করে। হঠাৎ করেই ঢলের পানি নেমে আসায় অপ্রস্তুত সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন।
ঝিনাইগাতী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁন জানান, উপজেলার দিঘীরপাড় মহারশী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে চতল, মাটিয়াপাড়া, রামনগর, সুরিহারা, কালিনগর, সারিকালিনগর, প্রতাবনগর, দাড়িয়ারপাড়সহ বিভিন্ন গ্রামসমূহে শত শত ঘরবাড়িতে ঢলের পানি প্রবেশ করেছে। কৃষকদের আমন ধান, বিভিন্ন সবজি ফসল ও পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে।
ঝিনাইগাতী বণিক সমিতির সভাপতি আবু বাহার জানান, ঝিনাইগাতী সদর বাজারের মসজিদ রোডসহ বাজারের একাংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। কিছু দোকান-পাটে পানি প্রবেশ করেছে, পানি নেমে গেলে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, ঢলের পানিতে যেসব এলাকার রোপা আমন তলিয়েছে সেসব এলাকায় আরো ২/৩ দিন পানি থাকলেও কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ ছাড়া ঢলের পানি যে কোন সময় নেমে যেতে পারে। তারপরও পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ বলেন, ‘অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে মহারশী নদীর বাঁধের কিছু অংশ তলিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানিতে ঝিনাইগাতী উপজেলা শহরসহ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে ঢলে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আশা করছি রাতের মধ্যে এ পানি নেমে যাবে।’