পাওনা টাকা চাইতে আসার কারণে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর বাজারের এক হোটেল মালিক তার শিশু কর্মচারী সাগর (১২) কে ৪/৫ ঘন্টা বেধেঁ রেখে নির্যাতনের অভিযোগে, রাজিবপুর থানা পুলিশ ১ জন কে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।পুলিশ ও নির্যাতিত শিশুর মা মমতা বেগমের অভিযোগে জানা গেছে,বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে রাজিবপুর নামা বাজারের সায়েম হোটেল এর মালিক সায়েম মিয়ার নির্দেশে তার ছোট ভাই শফি আলম অরফে দুখু তাকে জিআই তার দিয়ে হাত ও পা বেধেঁ রান্না ঘরের খুটিঁর সাথে বেঁধে, সন্ধ্যা ৭ পর্যন্ত নিয়ার্তন চালায়। সাগরের মা অভিযোগ করে বলেন, জ¦রের কারণে তার শিশুটি ২/৩ দিন কাজে আসতে পারেনি। সে রাজিবপুর বাজারের পাশ্বের গ্রামের সায়েম এর হোটেলে কাজ করে। কাজের জন্য প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খাটিয়ে দেড়শ করে ট্যাকা দেয়। বৃহস্পতিবার বিকালে এসে তার অবস্থার কথা জানিয়ে তার পাওনা টাকা চায়। মালিক এতে রেগে টাকা দিতে অস্বীকার জানায়। এতে শিশুটি মালিকের সাথে একটু চড়া কথা বলে,তখনি মালিক সায়েম ইশারা দিলে তার ছোট ভাই শফিআলম শিশু শ্রমিক সাগরকে হাত-পা জিআই তার দিয়ে বেধে রাখে। এদিকে শিশুটির মা মমতা বেগম খবর পেয়ে হোটেলে ছুটে আসে। তার সন্তানকে ছেড়ে দিতে বলে। তবুও তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি। এমন সময় স্থানীয় সাংবাদিক শহিজল হোসেন সজল বিষয়টি জানতে পান। ঘটনাস্থলে এসে শিশুটির হাত-পা বাধাঁ অবস্থায় নির্যাতিত শিশুটিকে ক্যামেরা বন্দি করেন। পরে রাজিবপুর থানা পুলিশকে মোবাইল করেন। সঙ্গে সঙ্গে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হন। নির্যাতিত শিশু ও তা মাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। নির্যাতিত শিশুর মা মমতা বেগম রাজিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করলে সায়েম হোটেল এর ছোট ভাই শফিআলম অরফে দুখুকে গ্রেফতার করেন। সে পার্শ্ববতি দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার জুয়ানের চর খা পাড়া গ্রামের বাহেজ উদ্দিনের পুত্র। এ ব্যাপারে চর রাজিবপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ নবীউল ইসলাম জানান,শিশু আইন ২০১৩ এর ৭০ ধারায় শিশুর সাথে নির্দয়-নিষ্ঠুর আচরণ করায় তার নামে মামলা হয়েছে। আসামি শফিআলম কে শুক্রবার কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।