দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে যাওয়া ৫১ ছোট যমুনা নদীতে বৃষ্টির পানিসহ উজানের বয়ে আসা পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পানিতে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবারও নদী ভাঙনের কবলে কচুয়াপাড়া (হিন্দুপাড়া) গ্রাম। ইতোমধ্যে প্রায় ১০ একর আবাদি জমি ও বাড়ী নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গত বছরেও অনেক ফসলি জমি রাস্তাসহ এই নদীর ভাঙনে বিলিন হয়ে গেছে। বর্তমানে যমুনা নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঘর-বাড়ি। নদী খনন না হওয়ার ফলে নদীর গতিপথ হারাচ্ছে। এতে বিপর্যয় ঘটছে পরিবেশও জীব-বৈচিত্রের। বিনষ্ট হচ্ছে বসত বাড়ি। গ্রামবাসী মনে করছেন, নদী ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আবাদি জমিসহ ভিটেহীন হয়ে পড়বে কচুয়াপাড়া।
৭-৮-৯ নম্বার ওয়ার্ড ইউপি সদস্যা তাসকিনা বেগম জানান, নদী ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থার নেয়ার জন্য ২০১৮ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডে একটি আবেদন করা হয়েছিল। এই ৫১ ছোট যমুনা নদী গর্ভে আমার আবাদি জমি বিলীন হয়ে গেছে।
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা এমন চিত্রই দেখা গেছে। বসতবাড়ি ও কচুয়াপাড়া গ্রামের উত্তর পাড়ার রাস্তাসহ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে ইতোমধ্যে প্রায় ১০ একর আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
ঐ হিন্দুপাড়া কচুয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বসন্ত কুমার (৫০) ও বাবু চন্দ্র দাস (৪৫) বলেন, ৫১ ছোট যমুনা নদী আমাদের ফসলি জমি, বাশঁ ঝাড়, বাড়ী এই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আমাদের মত অনেকের ফসলি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে ,যদি নদী ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা না নেয়া হয় তাহলে আরও ফসলি জমি, বাড়ি ঘর, বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মনোবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মানিক চন্দ্র দাস (২৮) বলেন, যে জায়গায় নদীটি বাঁকা রয়েছে ওই স্থানে ১০০/২০০ ফুটের মতো বাঁধ দিলে তাহলে এ ভাঙ্গন থেকে আমরা ও গ্রামমবাসী রক্ষা পেতাম।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল চন্দ্র সরকার বলেন, নদী ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ‘খড়খরিয়া নদী ব্যবস্থাপনা’ নামে প্রকল্প পানি উন্নয়ন বোর্ডে জমা দেয়া হয়েছে। কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটি অনুমোদন হলে সব সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।