কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার মাইজচর ইউনিয়নের শ্যামপুর পাড়া গ্রামে গত ১৩ মাস আগে মাদক সম্রাট ও এলাকার কুখ্যাত ডাকাত ফারুক মিয়া ও তাদের দোসরদের মাদকের প্রতিবাদ করতে গিয়ে মোঃ ফুরকান ও শরীফ খুন হয় (১৪ আগস্ট ২০১৯)। ১৩ মাস পার হয়ে গেলেও কিশোরগঞ্জের সিআইডি পুলিশ ফুরকান ও শরীফ হত্যার কান্ডের সংঙ্গে জড়িত ডাকাত ফারুক গংদের গ্রেফতার না করায় এলাকাবাসীদের ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। মাদক সম্রাট ও এলাকার কুখ্যাত ডাকাত ফারুক মিয়ার শ্যালিকা মোমেনা বেগম হত্যা মামলার বাদী বাক্কার গংদের বিরুদ্ধে এ বছরের ফেব্রুয়ারী মাসের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল- ২ এ একটি মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করেছে বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে শ্যামপুর পাড়া গ্রামে সরে জমিন গেলে শ্যামপুর পাড়া বাজারের চা’র দোকানদার হুমায়ুন মিয়া, সুমন মিয়া, কামাল হোসেন, সাবেক মেম্বার জালাল মিয়া, বাবুল মিয়া সহ অর্ধশত গ্রামবাসী এ প্রতিবেদককে বলেন, শরীফ ও ফুরকান মিয়াকে যারা হত্যা করেছে তারা এ হত্যা মামলাকে আড়াল করার জন্য ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে বলে স্বীকার করেন। গ্রামবাসীরা আরও বলেন, ফারুক ডাকাত তার শ্যালিকাকে দিয়ে ধর্ষণ মামলা করার কারণে এলাকাবাসী হতবাক হয়েছে। কারণ, শরীফ ও ফুরকান খুনের মামলার বাদী মোঃ বাক্কার ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলে এলাকাবাসীরা মন্তব্য করেন। বাজিতপুর থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ধর্ষণ সম্পর্কে থানায় দিতে অভিযোগ আসেনি বলে উল্লেখ করেন।