কুড়িগ্রামে সবগুলো নদণ্ডনদীর পানি কমতে শুরু করেছে। ধরলা নদীর পানি দ্রুতগতিতে কমতে থাকায় জেলার বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও দুধকুমর নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও শুক্রবার দুপুর থেকে তা কমতে শুরু করেছে। তবে রোপা আমনসহ নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন ফসল এখনো পানিতে তলিয়ে থাকায়, তা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। শুক্রবার সকাল থেকে আকাশ মেঘ কেটে রোদ উঠেছে।
ব্রহ্মপুত্র নদের নুনখাওয়া পয়েন্টের পানি উচ্চতা পরিমাপক রোস্তম আলী ও চিলমারী পয়েন্টের মাহফুজ রহমান জানান, রাতে পানি বাড়লেও শুক্রবার সকাল থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ছিল স্থির। বিকাল ৩টা থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। তারা পানির গতি-প্রকৃতি দেখে মনে করছেন পানি আরো কমবে। বিপদসীমা অতিক্রম করার কোন সম্ভাবনা আছে বলে তাদের মনে হচ্ছে না।
এদিকে পানি কমায় ভাঙ্গন তীব্র হয়েছে। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: সাইদুর রহমান জানান, গত দুইদিনে ধরলার ভাঙ্গনে তার ইউনিয়নের জগমনের চর এলাকার ৫৪টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এসব পরিবার খোলা আকাশের নীচে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়াও ১৩শ ৫০টি পরিবার পানিবন্দি জীবন-যাপন করছে। অন্যদিকে সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের চরসিতাই ঝাড় এলাকায় তীব্র নদী ভাঙ্গনে প্রাইমারি স্কুল সহ বেশ কিছু বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, উজানে বৃষ্টিপাত কমায় কুড়িগ্রামের ১৬টি নদণ্ডনদীর পানি কমতে শুরু করেছে। ধরলা ছাড়া সব নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমা অব্যাহত থাকবে। বড় কোনো বন্যার শংকা নাই বলেও তিনি জানান। এ ছাড়া ১০টি পয়েন্টে ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় জরুরী ভিত্তিতে জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ভেলে ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে।