গোপনে অবৈধ প্রনয়-প্রেম। অবশেষ অবৈধ পরক্রিয়ার জের ধরে বিবাহিত এক রোমান্টিক প্রেমিক আরেক জনের স্ত্রীকে নিয়ে ১৩ বছরের স্বামীর সংসার ভেঙ্গে দিয়ে ২টি মেয়ে সন্তান নিয়ে সজীব সিংহ (৩৩) কৃষ্ণ চন্দ্র রায়ের স্ত্রী পাবর্তী রায় (৩৫) সাথে নিয়ে ২মাস ধরে উধাও হয়ে গেছে। হিন্দু সম্প্রদায় ভুক্ত তাদের উভয়ের বাড়ী শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌর শহরের সাহাপাড়া মহল্লায়। এবস্থায় স্ত্রী সন্তান সব হারিয়ে, পথে প্রান্তরে ঘুরে, ছন্ন ছাড়া, ঘর শূন্য, নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিশেহারা পাগল প্রায় হয়ে গেছে কৃষ্ণ চন্দ্র রায়।
এঘটনায় কৃষ্ণ চন্দ্র রায় প্রথমে নালিতাবাড়ী থানায় কয়েকদিন ধরে যোগাযোগ করলে পরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নালিতাবাড়ী, শেরপুর কোর্টে মামলা দেওয়ার জন্য বলে দেয়। পরে সে শেরপুর কোর্টে ১৩ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করে। মামলাটি আদালত ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে পিবিআই (পুলিশ ইনভেসটিগেশন অব বুরে্যা) জামালপুর কে অত্র ট্রাইবুন্যালে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেন। আগামী ১৪ অক্টোবর অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী আদেশ আসবে বলে বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল, শেরপুর অভিযোগ পত্রস্থ সূত্রে জানা গেছে।
অভিযোগ পত্র ও এলাকবাসীর সূত্রে জানা গেছে, নালিতাবাড়ী শহরের বিশিষ্ট স্বর্ন ব্যবসায়ী মৃত সুরেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে কৃষ্ণ চন্দ্র রায় (৪৫) নালিতাবাড়ী পৌরশহরের সাহাপাড়ার বাসিন্দা পেশায় একজন (ষ্টোন, প্রবাল পাথর বিক্রেতা) এবং কুমিল্লার বাগিচাগাঁওয়ের মৃত আশুতোষ রায়ের কন্যা পার্বতী রায়ের সাথে পারিবারিক ভাবে অভিভাবকরা ধুমধামে বিবাহ করান। সংসার ভাল ভাবেই চলছিল। ১৩ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের ২টি মেয়ে সন্তান হয়। এরমধ্যে প্রতিবেশি সুনীল সিংহের (দর্জি দোকান) এর সাথে কৃষ্ণ চন্দ্র রায়ের পারিবারকি ভাবে ভাল বন্ধুত্ব ছিল। বাড়ীতে যাতায়াতও ছিল। এই পারিবারিক যাতায়াতের মাঝেই সুনীল সিংহের ছেলে সজীবও পেশায় (নালিতাবাড়ী ৩নং ওর্য়াড আনসার ভিডিপি কমান্ডার ও প্রানী চিকিৎসক) বিবাহিত জীবনে সজীবও দুই সন্তানের জনক কৃষ্ণ বাড়ীতে আসতো। এই আসা যাওয়ার মধ্যেই কৃষ্ণের স্ত্রী পার্বতীতে কে কাকী বলে সম্বোধন করতো এবং এই বাড়ীতে যাতায়াত করতো। কাকা-কাকি সর্ম্পকে কেউ কোন ভাবেই বিষয়টি মাথায় নেয়নি। তার পরেও বাড়ীতে সজীবের ঘন ঘন আসা যাওয়াতে কৃষ্ণ বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হওয়াতে পারিবারিক ভাবে আলোচনা হয় এবং স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটি ও অশান্তি হয়। পরে সজীব কে কৃষ্ণ বাড়ীতে আসার জন্য নিষেধ করে দেয়। নিষেধেও কাজ হয়নি। অবৈধ সর্ম্পকে গড়ে উঠে প্রনয়। আর এই প্রনয় এখন কৃষ্ণের ১৩ বছরের সংসারে ঢুকে ঝড়ের মত তছনছ করে দিয়ে গেছে সবকিছু। ধ্বংস হয়ে যায় একটি সুন্দর সংসার। সব হারিয়ে ফেলেছে কৃষ্ণ। জীবনে এমন দিন আসবে কখনও ভাবেনি সে।
কান্না জড়িত হয়ে কৃষ্ণ চন্দ্র রায় বলেন, আমার ১৩ বছরের সংসার জীবনে কখনও ভাবিনি এমন দিন আসবে। সব হারিয়ে ফেলেছি আমি। সজীব অবৈধ সর্ম্পক করে ছলে বলে কৌশলে আমার স্ত্রী ২টি কন্যা সন্তানসহ সব নিয়ে গেছে। আমি প্রথমে থানায় গিয়ে ছিলাম। কয়েকদিন যাওয়ার পরে ওসি বলে এটি আপনি কোর্টে মামলা করেন। পরে আমি অনেক কষ্ট করে টাকা সংগ্রহ করে কোর্টে মামলা করেছি। আমার স্ত্রীর সাথে সজীবের এই অবৈধ সর্ম্পকে সব হারিয়েছি আমি। আমি এর বিচার চাই। এই সজীব ইতি পূর্বে আরেকটি মহিলার সাথে অবৈধ সর্ম্পক করেছিল সেই মহিলাটি পাগল হয়ে পাবনা মেন্টাল হাসপাতালে ভর্তি ছিল। এখন ওই মহিলাটি পাগল।