গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণের মামলায় ৯ বছরের এক শিশু ও তৃতীয় শ্রেণির স্কুল ছাত্র খোরশেদ আলমকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও শিশুটির নি:শর্ত মুক্তির দাবীতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুরে গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোডে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে গাইবান্ধার সচেতন মহলের শতাধিক ব্যাক্তি উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে অভিযুক্ত শিশুর বাবা খাদেমুল ইসলাম বলেন, পারিবারিকভাবে আমাদের হেনস্তা করতে পরিকল্পিত ভাবে মামলাটি করা হয়েছে। আমার শিশু ছেলেকে নিজ বাড়ীর উঠান থেকে তুলে নিয়ে যায় সাঘাটা থানা পুলিশ। কয়েক ঘন্টা থানায় আটকে রেখে ধর্ষণ মামলায় কোর্টে চালন করে। আমার ছেলে একটি শিশু মেয়েকে জোর করে ধর্ষণ করার উপযুক্ত বয়সে এখনও পৌঁছায়নি। আমার ছেলের মুক্তির দাবী জানাই এবং আমি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি। মানববন্ধনে বক্তরা, গ্রেফতারকৃত শিশুটির নি:শর্ত মুক্তির দাবী জানান, তা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন তারা।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ৯ বছরের শিশুটি গত শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) পাশের বাড়ির পাঁচ বছরের এক শিশুকে জোড় করে একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে খোরশেদ আলম। এ সময় নির্যাতনের শিকার শিশুটির চিৎকারে সে পালিয়ে যায়। পরে ধর্ষণের স্বীকার শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার সাক্ষী সাত বছর বয়সী দুই শিশু। ঘটনার পাঁচদিন পর বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নির্যাতনের শিকার শিশুটির বাবা বাদী হয়ে সাঘাটা থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। সাঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বেলাল হোসেন বলেন, ধর্ষণের স্বীকার শিশুর জবানবন্দির প্্েরক্ষিতে শিশু ধর্ষণের মামলা নিয়ে শিশুটিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণের মামলায় ৯ বছরের শিশুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্ত শিশুটি স্থানীয় আলোক বর্তিকা স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। গ্রেফতারের পরে সেদিন সন্ধ্যায় শিশুটিকে আদালতে পাঠানো হলে আদালতের বিচারক শিশুটিকে গাইবান্ধা জেলা কারাগারের মাধ্যমে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন।