বাগেরহাটের মোল্লাহাটে কেরামজুয়া খেলার টাকা নিয়ে হামলা-প্রতিহামলায় অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে। উপজেলার শারুলিয়া গ্রামে আক্কেল আলী শেখ পরিচালিত তার নিজস্ব দোকানের পিছনে কেরামজুয়ার ঘর থেকে শুক্রবার দুপুরে ন্যাক্কার জনক এ ঘটনা শুরু হয়।
স্থনীয় বীর-মুক্তিযোদ্ধা ও গণ্যমান্য সুত্র জানায়, স্থানীয় আক্কেল আলী শেখ বেশ কিছুদিন যাবৎ তার দোকানের পিছনে একটি গোয়ালঘরে কেরামজুয়া খেলা পরিচালনা করে স্থানীয় যুবকদের থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। যাতে করে এলাকায় চুরি-ধুরী বাড়ছে। ঘটনার দিন দুপুরে মাদরাসা সুপার স্থানীয় মিজানুর রহমান শেখের ছেলে ফুয়াদ শেখ (২৪)’কে কেরামজুয়া খেলার মাত্র ১০টাকার জন্য মারপিট শুরু করে ওই কেরামজুয়ার পরিচালক আক্কেল আলী শেখ, বখতিয়ার শেখ ও সাগর শেখসহ কয়েক জনে। তখন প্রাণভয়ে দৌড়ে বাড়ির দিকে যায় ওই যুবক। তবুও পিছু না ছেড়ে ধাওয়া করে তাদের বাড়িতে গিয়ে আবার মারপিট করে কেরমাজুয়ার পরিচালক ও তার অনুসারিরা। এরপর ফুয়াদের মামা একই এলাকার রফিক শেখ (৬৫) ওই ঘটনার বিচার চাইতে গেলে তাকেও মারপিট করে হামলাকারীরা। ওই ঘটনায় আহত ফুয়াদ ও রফিক শেখকে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এরপর ভিকটিম যুবকের বংশের প্রায় অর্ধশত লোক একত্রে প্রতিহামলা করে কেরামজুয়ার পরিচালক ও হামলাকারীদের বাড়ি-ঘর ও দোকানে। ওই হামলায় কেরামজুয়া পরিচালকসহ তার পক্ষের ৪জন আহত হয়। তারা হলেন-আক্কেল আলী শেখ (৪০), বিপ্লব (৩৫), ছেয়ারন (৬৫) ও হাসান (৩০)। এদের সকলে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
প্রধমে হামলার শিকার ফুয়াদ শেখ ও রফিক শেখ জানায়, তাদের উপর অন্যায়ভাবে হামলা চালানো হয়েছে। তারা এঘটনার বিচার দাবীতে থানায় অভিযোগ করেছেন বলেও জানান।
কেরামজুয়ার পরিচালক আক্কেল আলী বলেন, তাদের তেমন দোষ নাই, পোলাপানরা প্রথমে গ্যাঞ্জান করলেও পরে প্রপিক্ষরা এক/দেড়শ লোক এসে তাদেও বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও কুপিয়ে-পিটিয়ে ৪/৫জনকে যখম করে।
থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ কাজি গোলাম কবীর বলেন-ওই ঘটনায় দুই পক্ষই অভিযোগ করেছে। মামলা হলে দুই পক্ষেরই মামলা নেবো। এসব (কেরামজুয়া) বন্ধে চেয়ারম্যানদের ভূমিকা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।