খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার বরূনা গ্রামে গৃহবধূ ও আরাজি ডুমুরিয়া গ্রামে জুটমিল শ্রমিককে গণধর্ষণের ঘটনায় গত ১৫ দিনেও পুলিশ আর কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পৃথক দুই ধর্ষনের ঘটনায় ৮ ধর্ষকের মধ্যে মাত্র তিন ধর্ষক গ্রেফতার হয়েছে। অন্যরা রয়েছে ধরাছোয়ার বাইরে। গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার হওয়া মাহবুর রহমান মোল্লাকে একদিনের রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেু আবার কারাগারে প্রেরণ করেছে। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়নি মাহবুর রহমান মোল্লা।
এদিকে ধামালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যগ্ম আহ্বায়ক নুর ইসলাম সরদারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হওয়ায় শনিবার ধামালিয়া ইউনিয়ন বিএনপি কমিটির পক্ষ থেকে উপজেলা আহ্বায়ক ও যুগ্ম আকবায়কের নিকট তাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে আবেদন করেছ। কিন্তু উপজেলা বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতা তাকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন বলে সুত্রে জানা গেছে।
গত রোববার ( ৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ফুলতলার ডাউকোনা গ্রামের জনৈক গৃহবধূ স্বামীর বাড়ি থেকে দেবরকে সাথে নিয়ে রুদাঘরা গ্রামে পিতার বাড়ি যাওয়ার সময়ে বরূনা গ্রামে গণধর্ষনের শিকার হন। মারপিট করে বরূনা বাজারের নৈশ প্রহরীদের জিম্মায় তুলে দেয়া দেবর বাচ্চু সরদারকে। কেড়ে নেয়া হয় মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা। এ মামলায় আসামিরা হচ্ছে, মাহবুর মোল্লা, মেম্বও নুর ইসলাম সরদার, উজ্জ্বল শেখ ও মুশফিকুর রহমান। এরপরদিন আরাজী ডুমুরিয়ায় জুট মিল শ্রমিক গণধর্ষণের মামলার পলাতক দুই ধর্ষক হচ্ছে সবুজ মোড়ল ও সোহাগ মোড়ল। গ্রেফতার হয়েছে রেজাউল মোড়ল ও আ: রব মোড়ল। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিযেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রঘুনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তা মো: এমদাদ হোসেন জানান বরূনা গ্রামে ফুলতলার গৃহবধূ গণধর্ষনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত মাহবুর রহমান মোল্লাকে ১দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে রিমান্ডে কোন তথ্য পাওয়া গেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত তথ্য দেয়া যাবে না।