উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান। চলতি বছরের ১৭ আগস্ট যোগদান করেন ভোলাহাট উপজেলায়। মাস পেরিয়ে কয়েক দিন। তার অঙ্গিকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে সকলের সহযোগিতায় ভোলাহাট উপজেলাকে সুন্দর আলোকিত করে গড়ে তোলা। যেমন কথা তেমন কাজ। তিনি ছুটির দিনেও উন্নয়নের কাজে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। ভোলাহাট উপজেলার উন্নয়নে কাজ করে যাওয়া ৯০শতাংশ মানুষের মনে আশার আলো জেগেছে। মুখে মুখে মশিউর রহমান নামটা এখন একটা শ্লোগানে পরিনত হয়েছে। উপজেলায় যে সব কাজ সকল দল সকল মতের মানুষের প্রয়োজন সে সব কাজগুলো আইনের উপর ভর করে সবার সহযোগিতা নিয়ে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রশংসা করেছেন। তিনি কর্মদিবসে সময়ের মধ্যে অফিসে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে ছুটেন বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে। অফিসগুলোতে সময় মত কর্মকর্তা কর্মচারিগণ উপস্থিত হয়েছেন কি না। অফিসের ভিতর ও বাহির পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আছে কি না। তিনি সময়ের প্রতি শ্রদ্ধাশিল। যে কোন অনুষ্ঠান বা কাজে পৌঁছে যান একেবারে সময় মত। তিনি বাল্যবিয়ে, মাদকসহ বিভিন্ন কাজে রয়েছেন তৎপর। এদিকে ভোলাহাট উপজেলার মূল সড়ক থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামঞ্চলের রাস্তাগুলো এক শ্রেনীর অসাধু ব্যক্তি দখলে নিয়ে স্থাপনা তৈরী ও দোকান নিমার্ণ করায় যানবাহন ও পথচারিরা চরম দূর্ভোগে পড়েন। রাস্তার পাশে গরু-ছাগল বেঁধে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে আসছে। বিষয়টি ইতঃপূর্বে উপজেলা আইনশৃংখলা কমিটির সভায় প্রতিবার প্রতিকারের কথা উঠলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। কাগজে কলমে রেজুলেশন বহিতে আঁটকা পড়ে থাকতো। হাতেগুণা ক’জন অসাধু ব্যক্তির কারণে উপজেলাবাসির চরম দূর্ভোগের কথা বিবেচনা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মশিউর রহমান মাঠে নেমে পড়েছেন। ২৪ ঘন্টায় অবিরাম প্রত্যন্ত অঞ্চল ছুটছেন। তার অঙ্গিকার ভোলাহাট উপজেলাকে সুন্দর ও আলোকিত করতে হবে। এতে দল মত সকলের সহযোগিতায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পিছু হবেন না। ইতোমধ্যে জনতার দীর্ঘদিনের দাবী পূরণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মশিউর রহমান। তিনি ভোলাহাট উপজেলার মেডিকেল মোড় চৌরাস্তার চারেপাশে রাস্তার জায়গা দখলে নিয়ে অবৈধ্য স্থাপনা গড়ে রেখেছিলো সে সব স্থাপনা জনস্বার্থে গুঁড়িয়ে প্রস্থ্য করেছেন। এতে মেডিকেল মোড়ের যানজোট মুক্ত হলো। বিশাল উদ্যোগে মহা খুশি হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দীর্ঘায়ু কামনা, স্থায়ী ভাবে ভোলাহাটে অবস্থান দাবী করেছেন উপজেলাবাসি। মুশরিভূজায় (জামতলা)রাস্তার উপর গড়ে উঠা হাট উঠিয়ে সরকারি জায়গায় বসানোর ব্যবস্থা করেছেন। মহানন্দা নদী থেকে বৃহত্তর ভোলাহাট উপজেলার পায়ঃনিষ্কাশনের জন্য দীর্ঘ ৮ কিঃ মিঃ ক্যানেল দখল মুক্ত অভিযান অব্যহত রেখেছেন। ক্যানেলটি দখল মুক্ত করে পয়ঃনিষ্কাশন থেকে বৃহত্তর এলাকা জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হবে। তিনি সরকারি ছুটির দিন বাসায় বসে না থেকে ভোলাহাটের উন্নয়নে ছুটে বেড়ান উপজেলার কোন থেকে কোন্তরে। তার কাজের অগ্রগতিতে ভূক্তভূগি অনেকেই বৈধ্য কাজের সমাধানের প্রত্যাশায় তিনিই যেন একমাত্র ভরসা। বৈধ কাজের জন্য গাছ তলা থেকে দশ তলার মানুষের কোন ভেদাভেদ তার কাছে নেই। তবে অবৈধ্য কাজের জন্য সে যেই হোক অন্যায় আবাদারের কাছে তিনি মাথা নত করবেন না এমনটায় বলেছেন তিনি। জামবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৪০ বছর বয়সের প্রতিবন্ধি মিলন জানান, ভোলাহাটে এমন ভালো মানুষ যেন আজীবন থাকে। তার কাজে ভোলাহাটবাসি খুব খুশী। পোল্লাডাংগা গ্রামের দিনমুজুর গরিবুল জানান, এর আগে আর এমন ইউএনও দেখিনি। তিনি ভোলাহাটকে এত ভালোবাসেন। আলি হায়দার বলেন, এর পূর্বে অনেক ইউএনও আসছেন তারা চাকুরি করে চলে গেছেন। কিন্তু বর্তমান ইউএনও ভোলাহাট উপজেলার উন্নয়নের দেব দূত। এক মাসের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করা কাজ করেছেন। উপজেলাবাসির মনের আশা পূরণ হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, ভোলাহাটকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে সকলের সহযোগিতা নিয়ে সুন্দর ও আলোকিত ভাবে গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, ভালো কাজের সাথে তিনি সব সময় সবার সাথে থাকবেন। তবে অবৈধ্য কাজের সাথে কোন আপোশ করবেন না বলে জানান।