“শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ” এই শ্লোগানে মুন্সীগঞ্জে হত দরিদ্রদের মাঝে ১০ টাকা কেজিতে চাউল বিক্রি শুর হয়েছে। টানা ৩ মাস বন্ধ থাকার পর আবারো টানা ৩ মাস চাউল বিতরণ করা হবে। তবে এবার আরো ২ মাস বাড়িয়ে ৫ মাস দেওয়ার একটি প্রস্তাব রয়েছে। প্রতি মাসে একবার একটি পরিবার ৩০ কেজি করে চাউল নিতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এ চাউল পেয়ে হত দরিদ্ররা বেশ খুশি। তবে কোথাও আবার ৩০ কেজির কম চাউল পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে তদারকি করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলাও রয়েছে।
সারা দেশের ন্যায় এক যোগে রোববার থেকে মুন্সীগঞ্জের ৬ টি উপজেলায়ও এ চাউল বিতরণ শুরু হয়েছে। জেলার সিরাজদিখান উপজেলায় ২৮ জন ডিলারের মাধ্যমে ৯ হাজার ১৬ টি পরিবারের মাঝে প্রতি মাসে প্রায় ২ শত ৭১ মে. টন চাউল বিতরণ করা হয়। প্রত্যেক ডিলার ৩শত ২২টি করে পরিবারকে চাউল দিয়ে থাকে, প্রতি পরিবার মাসে একবার ৩০ কেজি করে চাউল পাচ্ছেন।
দরিদ্র এ সুবিধাভোগি অনেকে জানান, প্রধানমন্ত্রী চাউল দেওয়ায় তারা খুশি, কেউ বলেন না হলে, না খেয়ে মরতে হতো। অনেকে বলেন তারা ঠিকমতই চাউল পাচ্ছেন। আবার কারো অভিযোগ তারা চাউল কম পাচ্ছেন।
ডিলার মীর আলতাফ হোসেন কাঞ্চন জানান, কোন কোন বস্তায় চাউল কম আসে বিষয়টি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিসে জানিয়েছেন। তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
ডিলার আনোয়ার হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া চাউল পেয়ে জনগণ খুশি। আমরাও সঠিক ভাবে দিতে পেরে খুশি আছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারি উপ-খাদ্য পরিদর্শক মো. নোমান তালুকদার জানান, উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক দুইটি উপজেলা দেখেন। আমরা একদিনে ২৮ ডিলারকে দেখা সম্ভব হয় না। এক ঘন্টা করে একটা ডিলারদের দেখলেও ৪ ভাগের এক ভাগ শেষ হবে না। তবে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের তদারকি করার জন্য ডিলারদের নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। চাউল কম হওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, কোন বস্তায় ২শ গ্রাম, ৫শ গ্রাম কম হয়। আবার কোন বস্তায় ৫শ গ্রাম বেশি হয়। একজন ডিলার ৩২২ জনকে দিবে, সেখানে সব বস্তা মিলিয়ে ৯৬৬০ কেজি দেওয়া হয়।