বরিশালের বাবুগঞ্জে একটি জামে মসজিদ ও মসজিদ সংলগ্ন এমিতখানার জমি ভূয়া দলিল দেখিয়ে আত্মাসাত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র। এ ঘটনায় এলাকার মুসল্লিদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। সোমবার দুপুরে মসজিদের জমি রক্ষার দাবি জানিয়ে মসজিদের মুসল্লিরা বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানাগেছে, উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের রহমতপুর-মীরগঞ্জ সড়কের পাঁচরাস্তা নামক স্থানে সুহাইব-রুমী জামে মসজিদ ও এতিমখানাটি স্থানীয় ও এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে এলাকার মুসল্লিগণ সেখানে নামাজ আদায় করে আসছেন। সম্প্রতি মসজিদটির সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার সিন্ধান্ত হয়। সে মোতাবেক গত কয়েকদিন আগে মসজিদের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করা হলে স্থানীয় একটি ভূমিখেকো চক্রের মূল হোতা রাজগুরু গ্রামের সেন্টু খাঁন মসজিদের জমি নিজের দাবী করে নির্মাণ কাজে বাঁধা প্রধান করে। মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসী এঘটনার প্রতিবাদ জানালেও সেন্টু খাঁন তাদের তোয়াক্কা না করে ও জমি দখলেরে পাঁয়তারা করে আসছে।
এ ব্যাপারে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামসুল হক জানান,স্থানীয় রাজকর গ্রামের মৃত. সোবাহান শিকদার তার পৈত্রিক সম্পত্তি ৩০ বছর পূর্বে স্থানীয় মোঃ হেফাজুর রহমান,আরিফুর রহমান,আবুল হোসেন,ইউনুচ আলী, নূরুল হক,আঃ রহমান শিকদার ও হাবিবুর রহমান’র কাছে লোহালিয়া মৌজার বেশ কয়েকটি দাগে ৬৭ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। যার মধ্যে ক্রয়কৃত মালিকরা ৩১৭ দাগের ২০ শতাংশ জমি মসজিদ ও এতিমখানায় দান করেন। এ ঘটনার ৩০ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর সম্প্রতি স্বত্বহীণ হয়ে যাওয়া সম্পত্তির মালিকের পুত্র দুলাল শিকদারকে দাতা সাজিয়ে গোপনে দলিল সৃষ্টির মাধ্যমে ভূমি দস্যু সেন্টু খান তার স্ত্রী বিউটি আক্তারের নামে ২ শতাংশ জমি ভূয়া দলিল দেখিয়ে দখলের চেষ্টা চালায়।
মসজিদ কমিটির সদস্যরা জানান, সেন্টু ও তার সহযোগীরা এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে নানা কু-কর্ম করে আসছে। মসজিদের জমি দখলের বিষয়টি নিয়ে এলাকার মুসল্লিদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেন্টুর ভূয়া দলিলের বিরুদ্ধে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে আদলতে একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সেন্টু খাঁনের সাথে কথা হলে তিনি দখল বাজির অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, সোবাহান শিকদারের পুত্র দুলাল সিকাদের কাছ থেকে পৌঁনে ২ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করেছি। যাহা মসজিদ কমিটির দখল করে রাখছে। জমির মালিক দুলাল শিকদার আমার জমির দখল বুঝিয়ে দিতে আদালতের স্বরনাপন্ন হয়েছে। যার ফলে মসজিদের সীমানা প্রাচীর নিমার্ণ কাজ বন্ধ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাবুগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান জানান, এ বিষয়ে আদালত থেকে একটি নিষেধাজ্ঞা পেয়ে শান্তিসৃংখলা বজায়ের স্বার্থে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।