রংপুর নগরীর ব্যস্ততম মিঠুর গলি সড়কে উন্নয়ন কাজে ধীরগতিতে দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। এক মাস ধরে খোড়াখুড়ি করে রাখা রাস্তাটির সংস্কার কাজে ধীরগতির কারণে সামান্য বৃষ্টির পানিতে কাঁদাপানিতে একাকার হয়ে যাচ্ছে। ফলে বাণিজ্যিক এ এলাকায় জনদূর্ভোগ বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা ঠিকমত তাদের ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারছেন না। ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ অনেক কষ্টে যাতায়াত করছেন।
জানা যায়, নগরীর মিঠুর গলির বর্তমানের ১৪ ফুট প্রস্থের রাস্তাটি বাড়িয়ে ড্রেনসহ ১৬ ফুট ৯ ইঞ্চি রাস্তা করতে জাইকার অর্থায়নে ২০১৯ সালের মে মাসে প্রকল্পটি পাশ করে রংপুর সিটি কর্পোরেশন। করোনাকালে টেন্ডারসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষে চলতি বছরের আগস্ট মাস থেকে রাস্তাটির কাজ শুরু হয়। এ রাস্তার দু’ধারে সোনালী ব্যাংক, বেকারী, ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী, ঔষধের দোকানসহ বিভিন্ন পণ্যের শতাধিক দোকান রয়েছে। প্রতিদিন ওই সড়কে রংপুর নগরীরসহ বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ দোকানপাটগুলোতে কেনাকাটা করতে আসেন। রাস্তা কাম ড্রেন নির্মাণ কাজের জন্য রাস্তার দু’ধারে খোড়াখুড়ি করা হলেও প্রায় ১ মাস ধরে তা ফেলে রেখেছে ঠিকাদার। ফলে ওই রাস্তায় থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ী, চলাচলকারী সাধারণ মানুষ ও এলাকার বাসিন্দাদের দূর্ভোগ এখন চরমে পৌছেছে। বিশেষ করে এই রাস্তায় বাণিজ্যিক ব্যাংক থাকায় সেই ব্যাংকে পেনশন গ্রহীতা বৃদ্ধরা আসেন। ইতোমধ্যেই কয়েকজন খুড়ে রাখা গর্তে পড়ে দূর্ঘটনার শিকারও হয়েছেন। দ্রুত ওই সড়কের নির্মাণ শেষ করার দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। রাস্তা চলাচলকারী জুম্মাপাড়ার মুত্তাকিন ইসলাম (২৮) বলেন, নগরীর ব্যস্ততম এ রাস্তাটি কি কারণে ঠিকাদার মাসের পর মাস ফেলে রেখেছে এটা আমার বোধগম্য হয় না। সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্রুত এ রাস্তাটির উন্নয়নের কাজ শেষ করার দাবী জানাচ্ছি।
নগরীর কুকরুলের সামসুল আলম (৪৬) বলেন, পেনশনের টাকা উত্তোলনের জন্য আমার বাবা মিঠুর গলিতে থাকা সোনালী ব্যাংকে যায়। রাস্তা উন্নয়নের জন্য দু’পাশে গর্ত খুঁড়ে করে রাখা হয়েছে। কাঠের উপর দিয়ে ব্যাংকে প্রবেশ করতে গিয়ে অনেকে পা পিছলে পড়ে আহত হয়েছেন। যদি কোন বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে তবে এর দায় সিটি কর্পোরেশন ও ঠিকাদারকে নিতে হবে। এ ছাড়া বয়স্ক মানুষদের জন্য রাস্তায় চলাচল করার অবস্থা নেই।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার খাইরুল কবির রানা বলেন, আমি সাব ঠিকাদারকে শর্ত সাপেক্ষে এই কাজটি বরাদ্দ দিয়েছি। আমার চুক্তি নামায় বলা হয়েছে, রাস্তার কাজে ত্রুটি হলে তার দায়-দায়িত্ব সাব ঠিকাদার বহন করবে।
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ওই রাস্তার কাজের ধীরগতির কারণে ঠিকাদারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। নিয়ম মেনে সময় মত কাজ শেষ করতে না পারলে তার কাজ বাতিল করা হবে।