১২ কোটি ১৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ মামলায় যমুনা ব্যাংকের বগুড়া শাখার সাবেক ব্যবস্থাপকের দুই স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ ও ফ্লাট ক্রোক করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত নিগার সুলতানার ব্যাংক হিসাবও ফ্রিজ করা হয়েছে। গতকাল রোববার বগুড়ার জেলা জজ নরেশ চন্দ্র সরকার এই আদেশ দেন।
বগুড়া দুর্নীতি দমন কমিশনের পিপি আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি জয়যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ব্যাংক কর্মকর্তা সওগাত আরমানের দুই স্ত্রীর নামে বগুড়ার শহরের কাটনারপাড়া এলাকায় একটি ফ্লাট রয়েছে। আদালত ওই ফ্লাট ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের ব্যাংক হিসাবও জব্দ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ওই ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ফার্স্ট অ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে কর্মরত নিগার সুলতনার ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। নিগার সুলতানা সওগাত আরমানের প্রেমিকা বলে জানান আবুল কালাম আজাদ। তার ব্যাংক হিসাবে সওগাত আরমান আত্মসাতের টাকা লেনদেন করেছেন বলে জানান তিনি।
সওগাত আরমানকে গত ২৯ জুলাই যমুনা ব্যাংকের বগুড়া শাখা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বগুড়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ ও দুদক সূত্রে জানা গেছে, যমুনা ব্যাংক সওগাতের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করে যে তিনি (সওগাত) ১২ কোটি ১৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক কর্মকর্তারা তাকে যমুনা ব্যাংকের বগুড়া কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর থেকে সওগাত আরমান কারাগারে রয়েছেন।