বগুড়া সদরের কৈচড় বাজার এলাকায় সোমবার ট্রেনে কাটা পড়ে আনিসুর রহমান বাবু (৩৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তবে স্থানীয়দের দাবি ওই যুবককে ধাক্কা দিয়ে ট্রেনের নিচে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। এ অভিযোগ স্থানীয় বিক্ষুদ্ধ জনতা ২ ব্যাক্তিকে আটকের পর মারধর করতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। নিহত আনিসুর রহমান বাবু বগুড়া শহরের শিববাটি এলাকার আফসার আলীর ছেলে। সে পেশায় একজন গ্রীল মিস্ত্রি।
স্থানীয়রা জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে আনিসুর রহমান বাবু সহ ৪ ব্যাক্তি হেটে কৈচর বাজার থেকে পশ্চিম দিকে যাচ্ছিলেন। সেখানে রেলগেইট পাশে সান্তাহার থেকে বোনারপাড়াগামী দোলনচাপা ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে আনিসুর রহমান বাবু নিহত হন। এ সময় স্থানীয় কয়েক ব্যাক্তি এ ঘটনা দেখে বাবুকে ট্রেনের নিচে ফেলে হত্যা করা হয়েছে বলে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে ওই তিনজনকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে ২ জনকে আটক করে এবং অপরজন পালিয়ে যায়। আটককৃতদের বিক্ষুদ্ধ জনতা মারধর করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদেরকে জনতার কবল থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এদিকে রেলওয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় ফাঁপোড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহররম আলী জানান, চার ব্যাক্তি এক সঙ্গে কৈচর থেকে কাহালু যাওয়ার সময় তাদের একজন ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হন। স্থানীয় কয়েক ব্যাক্তি বলছে তাকে ধাক্কা দিয়ে ট্রেনের নিচে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২ ব্যাক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। আটকৃতরা হলো- লুৎফর রহমান ও গোলাম রব্বানী। এদের বাড়ী জেলার কাহালু উপজেলার পিলকুঞ্জ এলাকায়।
রেলওয়ে পলিশের এএসআই লিপি বেগম বলেন,এটি আসলে হত্যা না আত্মহত্যা তা সঠিক করে বলা যাচ্ছেনা। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
বগুড়া সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান,আটককৃতদের জনতার কবল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আর নিহতের পরিবার থেকে এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা সঠিক করে বলা যাচ্ছেনা। সঠিক ঘটনা জানতে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত করা হচ্ছে।