জামালপুরের বকশীগঞ্জে খাস জমি নিয়ে বিরোধের জেরধরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইন্তাজ আলী ওরফে ফকির আলী (৬৫) এর শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধী মেয়ে এলে রানী (১৮) কে হত্যা মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছে জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত। গত মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর)দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো: জুলফিকার আলী খাঁন চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি নির্মল কান্তি ভদ্র পিপি জানান, গত ২০১৪ সালের ২৮ জানুয়ারী বকশীগঞ্জের গাজীর পাড়া গ্রামের নিজ বসতঘর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইন্তাজ আলীর বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়ে এলে রানীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে নিহতের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইন্তাজ আলী খাস জমিতে ঘর তুলে বসবাস করায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরেধরে প্রতিপক্ষ তার বাক-প্রতিবন্ধী মেয়েকে হত্যা করেছে এমন অভিযোগ এনে তিনি বকশীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ২০ শে আগষ্ট ২০১৪ তারিখে পুলিশ তদন্ত করে ৩০২/৩৪ ধারায় চার্জশীট দিলে আদালত ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন করেন। রায়ে বকশীগঞ্জের গাজীর পাড়া গ্রামের সাদা মিয়ার ছেলে মানিক মিয়া (৩৫) কে পেনেল কোর্ট ১৮৬০ এর ৩০২/৩৪ ধারার অপরাধে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে।
এছাড়া একই মামলায় অপর ৩ আসামী ১। আব্দুর রাজ্জাক পিতা ইন্তাজ আলী ওরফে ফকির আলী, ২। মোকছেদুল ইসলাম পিতা আঃ রহিম সাং উত্তর খনিরামপুর গোমস্তা পাড়া, এবং ৩। মোছাঃ মোমেনা বেগম স্বমী মৃত সামছুল মাষ্টার, সাং- ডাক্তার পাড়া, উত্তর ডারার পাড়া, উভয় থানা তারাগঞ্জ, জেলা রঙপুর। এই তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অভিযোগের দায় হইতে বে-কসুর খালাস এর আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ মো: জুলফিকার আলী খাঁন।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ছিলেন অ্যাডভোকেট নির্মল কান্তি ভদ্র পিপি, আসামী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন অ্যাডভোকেট ফজলুল হক।