ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পিচ উঠে যাওয়া রাস্তার মেরামত কাজ শুরু করেছে শ্রমিকরা। এ অনিয়মের ও নি¤œমানের রাস্তার কাজকালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সূবর্ণা রানী সাহা পরিদর্শন করে দেখেন যে কাজটি নি¤œমানের। অবশেষে তিনি পরিদর্শন শেষে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক কে জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার তড়িঘড়ি করে সোমবার বিকাল থেকে নি¤œমানের রাস্তার পিচ তুলে পেলতে শুরু করেছে। লেবারবা লোহার রডও কোদাল দিয়ে রাস্তার পিচ ও পাথর তুলে ফেলছে।
কালীগঞ্জ নিমতলা থেকে ডাকবাংলা পর্যন্ত মোট ২২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৯ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়কের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু ৭ দিনের মাথায় এ সড়কের বিভিন্ন অংশের পিচ উঠে যাচ্ছে। নতুন সড়কটির বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ফাঁটলও দেখা দিয়েছে।
নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের জন্য সড়কটির এ হাল হয়েছে বলে এলাকাবাসীর দাবি করছে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দাবি, বৃষ্টির মধ্যে অল্প কিছু অংশে সড়কের কাজ করার কারণে এমন হয়েছে। সড়ক তৈরির তিন বছরের মধ্যে কোনো ক্ষতি হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দায়ভার বহন করবে। এদিকে সোমবার বিকেলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির বেশি ভেঙে যাওয়া অংশে পুণ নির্মাণের জন্য শ্রমিক লাগিয়ে পিচ উঠিয়ে ফেলছেন। এ কাজে প্রায় ১০ শ্রমিক কাজ করছে।
কালীগঞ্জ থেকে গান্না হয়ে ডাকবাংলা পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার সড়কে কাজ চলছে। কালীগঞ্জ শহরের নিমতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে কাজ শুরু করে ৪ থেকে ৫ দিনে প্রায় ৪ কিলোমিটর কাজ সম্পন্ন করেছে। কিন্তু এরইমধ্যে সড়কের কালীগঞ্জ শ্রীরামপুর নামক স্থানে প্রায় এক কিলোমিটার অংশে সড়কের পিচ উঠে যাচ্ছে।
সড়কটির কাজ দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন জানান, নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের কারণে এমটি হয়েছে। তবে সিডিউল অনুযায়ী সড়কে কাজ সম্পন্নের তিন বছরের মধ্যে কোনো সমস্যা হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুনরায় মেরামত করবে। বৃষ্টির জন্য কাজ বন্ধ রয়েছে। এরইমধ্যে সড়কে সমস্যা হয়েছে। তবে কাজ শুরু হলে আগে ক্ষতিগ্রস্থ স্থানের কাজ করা হবে।
এদিকে কালীগঞ্জের ইউএনও সূবর্ণা রানী সাহা জানান, নির্মিত সড়কের অংশটুকু তিনি নিজে গিয়ে দেখেছেন। নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের প্রমান মিলেছে। বিষয়টি ডিসিকে জানানো হয়েছে।