ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ও ভূষন রোডের হলুদ হাটায় সড়কে বা কম সময়ে যাওয়ার আসার একমাত্র শাখা সড়কটি কাঁদা মাটিতে পরিপূর্ণ থাকে দিনের পর দিন। কয়েক মাস আগে এই রাস্তাটি খুড়ে রাস্তার নিচ দিয়ে বড় ড্রেন নির্মান করেছেন কালীগঞ্জ পৌরসভা কর্তপক্ষ। কিন্তু রাস্তার উপরে কংক্রিটের ঢালায় দিলেও বৃষ্টির পানি রাস্তা থেকে ড্রেনের মধ্যে নিষ্কাশনের জন্য কোন ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার উপরেই পানি জমে থাকে। এ কারনে সামান্য বৃষ্টি হলেই কাঁদা পানিতে সড়কটি চলাচলে পথচারীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। অথচ এই শাখা সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধিরা যাতায়াত করে। এই সড়কটি দিয়ে যাওয়া আসা করতে হয় স্থানীয় সংসদ সদস্যের বাস ভবন, পৌর মেয়রের বাস ভবন, জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদকের বাস ভবন এবং তামের রাজনৈতিক দলের ফিসে। এছাড়া কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা। এ সড়ক দিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সাধারন মানুষ চলাচল করে থাকে। সড়ক টি অত্যান্ত ব্যাস্ততম হরে ও কাদা পানিতে ভরপুর থাকে। কিন্তু ড্রেনের উপরে কাঁদা পানি জমে থাকার কারনে স্থানীয় বসবাস কারীদের পচা কাঁদা পানির গন্ধে মারাত্বক দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তার দু,পাশে অত্যান্ত ঘনবসতি রয়েছে। অপর দিকে কালীগঞ্জে সাপ্তাহিত শুক্র ও সোমবার এই ২ দিন হাট বার থাকায় রাস্তাটি অত্যান্ত ব্যস্ততম থাকে। শহরের একমাত্র ভূষিমালের পাইকারি হাটে দেশের দুর দুরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা নসিমন, করিমন, আলম সাধূসহ ইঞ্জিন চালিত যানবাহন এই রাস্তা দিয়ে মালামাল আনা নেওয়া করে থাকে। এ রাস্তাদিয়ে নিশ্চিন্তপুর, মধুগঞ্জ,হেলা,ফয়লা, আড়পাড়া ও ঢাকা খুলনা মহাসড়ক, বাসটার্মিনালে যাতায়াতের এক মাত্র রাস্তা। কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি নেক নজরে নেই। বিশেষ করে সরকারি দলের ৩ জন জনপ্রতিনিধির এ সড়কের পাশে তাদের বাসভবন। পরিবারপরিজন নিয়ে তারা বসবাস করে থাকে। তিন জন জনপ্রতিনিধির রয়েছে পৃথক অফিস সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাদের কাছে গ্রাম এলাকার সাধারন মানুষ আসা যাওয়া করে থাকে।
এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে সরকারি নলডাঙ্গা ভূষন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভূষন বালিকা বিদ্যালয়, শিশু একাডেমি, নিশ্চিন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাছের আড়ৎ ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষ চলাচল করে থাকে। স্থানীয়রা বসবাসকারীরা জানান, বর্ষার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকলে জনদূর্ভোগের কবল থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ জানান, ইতিমধ্যে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আগামী ডিসেম্বর নাগাদ ড্রেনের উপর আরেকটি ঢালায় দিয়ে রাস্তাটি উচুঁ করা হবে।