নেত্রকোনা দুর্গাপুরে সোমেশ্বরী পর পর বন্যায় নদী তীরবর্তী কামারখালী গ্রামে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের ফলে গ্রামের অন্তত ১৩টি পরিবার অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। রাস্তাঘাট সহ বাড়ীঘর নদীগর্ভে যাওয়ায় সরকারি ভাবে জরুরী কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় সেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমেই শেষ আশ্রয় রক্ষার যুদ্ধে নেমেছেন এলাকাবাসী। সোম ও মঙ্গলবার দুই দিনব্যাপি এলাকার নারী-পুরুষ সকলেই কাজ করতে এগিয়ে আসে।
এ নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রখর রোদ উপেক্ষা করে কামারখালী গ্রামের শতশত আদিবাসী নারী-পুরুষ নদীর ভাঙন ঠেকাতে নিজস্ব অর্থায়নে বস্তা কিনে বালু ভর্তি করে এ কাজে অংশনেয়। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী চিংআ রিছিল এ প্রতিনিধি কে জানান, প্রথম ধাপের ভাঙনে ইতোমধ্যেই কামারখালী গ্রামের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বসতি ছেড়ে অনেকেই অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। ভাঙন রোধে প্রশাসনের তরফ থেকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নেতা রংচি রেমা বালুর বস্তা ফেলার বিষয়ে বলেন, আমার বলার ভাষা নেই প্রশাসনের এই বিমাতা সুলভ আচরন দেখে। নিরুপায় হয়ে হোস্টেলের টাকা, কেউ বা টিফিনের টাকা থেকে অর্থ সংগ্রহ করে আজকে ৪০০ বন্তা ফেলেছি। প্রশাসনের কাছে নদীর ভাঙন রোধে বাঁধ দিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।
এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা খানম এ প্রতিনিধি কে বলেন, সোমেশ্বরী নদীর ভাঙন ঠেকাতে ইতোমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসক সার সহ পানি উন্নয়ন রোর্ডের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকবার এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ নিয়ে স্থানীয় বাঁধ নির্মানের বড় প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বৃষ্টিপাত কমলেই বাঁধ নির্মান কাজ শুরু করা হবে।