আমান আবাদ করতে গিয়ে কৃষকরা এবার আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক বৈরিতার কবলে পড়েছে। শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে নদী ভাঙ্গন, বন্যা, পানি বাড়তি, অতিবৃষ্টি, আবার অতি খড়া ও ইদুর, বারবার পোকার আক্রমনসহ নানা দূর্যোগে আমান আবাদ করে সুবিধা করতে পারছে না নালিতাবাড়ীর কৃষকেরা। এত কিছুর পরেও সব হারানো কৃষক ঘুরে দাড়ানোর আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ।
কৃষকের সূত্রে জানা গেছে, কৃষক এবার আমান আবাদ করতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়েছে। শুরুতেই এবার অতিবৃষ্টি, বন্যার পানি, পোকার আক্রমন, ইদুরের আক্রমনসহ নানা প্রতিকুলতা পার করছে কৃষকরা। শুরুতে কৃষকেরা সার বিষ দিয়ে ক্ষেত প্রস্তুত করলেও অতিবৃষ্টির কারনে ক্ষেতে পোকার আক্রমন বেড়েছে। এরপর পরই আবার অতিবৃষ্টির কারনে ইদুরের আক্রমন, নদী ভাংগন বন্যার পানি ফসেলর মাঠে ঢুকে পড়া, অতিরিক্ত বৃষ্টির পানি ক্ষেতে জমাসহ এক অসহনীয় সময় পার করেছে কৃষকরা। এরপরও পোকার আক্রমন কমছে না। আবার ২য় ও ৩য় বারের মত ক্ষেতে সার বিষ দিয়ে ফসল বাচাঁনোর আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কৃষকেরা।
নালিতাবাড়ীর বারামারী এলাকার কৃষক এম সুরুজ্জামান বলেন, আমি দুই একর জমি আবাদ করেছি। প্রথমে সার বিষ দিয়ে ক্ষেত প্রস্তুত করেছি। এরপর আবার পোকার আক্রমন শুরু হয়েছে। আবার সার বিষ দিয়েছি কিন্তু কাজ হচ্ছে না। এদিকে আবার অতিবৃষ্টি ও আবহাওয়া জনিত জটিলতাসহ আবার ৩য় বারের মত পোকার আক্রমনে পড়েছি। আবারও সার বিষ দিয়ে এলাম। এত খরচের মধ্যে ফসলে আসলে এখন সব হারাতে বসেছি।
কোন্ননগর গ্রামের আল হেলাল, দক্ষিন কোন্নগর গ্রামের নবী হোসেন, নুরুল হকসহ এরা বলেন, আমরা দক্ষিনে ভোগাই নদীর ভাংগনে পড়েছি। বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারনে ফসলের মাঠ গড়িয়ে পানি গেছে এবং কোথাও কোথাও ফসলের মাঠে পানি আছে। পোকার আক্রমন ও শুরু হয়েছে। বৃষ্টি তো চলছেই। এবস্থায় আমাদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দুই বার আমরা সার বিষ তো দিয়েছি। এখন আবার ৩য় বারের মাথায় দিতে হবে। ফসল করে এবার দিশহারা অবস্থায় আছি আমরা।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আলমগীর কবির বলেন, এবার আমন আবাদে শতভাগ ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এরমধ্যে কৃষকের ৯০ ভাগ ফসল লাগানো সম্বভ হয়েছে। বাকি গুলো অতিবৃষ্টি, বন্যার কারনে কৃষকরা কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি। এদিকে ২২ হাজার ৮শ হেক্টর জমিতে আমান ধান রোপিত হয়েছে।