নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জীবননাশের হুমকির ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়ার পর পাঁচদিন পার হলেও নলছিটি থানা কর্তৃপক্ষ অভিযোগ জিডি হিসেবে গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শিউলী পারভীন থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যপারে নলছিটি থানার কর্মকর্তা ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শকের সরকরী নম্বরে ফোন করা হলে তাকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য জানাযায়নি।
অভিযোগে প্রকাশ গত ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নলছিটি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান শাহীন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শিউলী পারভীনকে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি কল গ্রহণ করে কে বলছেন জানতে চাইলে ভাইসচেয়ারম্যান শাহীন তার নাম্বার চিনতে না পারার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে শিউলী পারভীনকে নানা অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে জীবননাশের হুমকি দেন। এক পর্যায় শাহীন বলেন, নলছিটিতে কিভাবে চাকরী করেন তা তিনি দেখে নেবেন। শাহীন ডা. শিউলীকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, নিজেকে ডাক্তার ডাক্তার মনে করেন আপনারমত দুইজন ডাক্তার আমাদের বাসায় কাজ করে। ভাইসচেয়ারম্যান শাহীনের হুমকিতে নিরাত্তাহীনতায় থাকা ডা. শিউলী পারভীন গত ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ টায় নলছিটি থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও থানা কর্তপক্ষ গত পাঁচদিনেও অজ্ঞাত কারণে কোনো আইনগত ব্যবস্থা বা অভিযোগ জিডি হিসেবে লিপিবদ্ধ করেনি।
ডা. শিউলী পারভীন বলেন, আমি নলছিটিতে নতুন এসেছি সকলের নাম্বার আমার মোবাইলে সেইভ করা নেই, তবে বিশিস্ট ব্যক্তিদের নাম্বার আমার ডাইরিতে লেখা আছে। নাম্বার সেইভ না থাকার কারণে আমি ওনাকে, “ কে বলছেন প্লিজ জিজ্ঞেস করি, এটা কি কোনো অপরাধ”। কে বলছেন বলার পরপরই ভাইসচেয়ারম্যান সাহেব আমাকে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে নানা হুমকি ধামকি দেয়া শুরু করেন। ভবিষ্যতে তিনি আমাকে বিপদের মধ্যে ফেলতে পারেন এ আশংকায় এবং আমার নিরাপত্তার কারণে আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু পাঁচদিন অতিবাহিত হলেও কেন থানা কর্তৃপক্ষ জিডি গ্রহণ করেনি তা আমি বলতে পারছি না। তবে এ ঘটনায় আমি আতংকিত। আমি বিষয়টি মাননীয় সংসদ সদস্য মহোদয়, জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন এবং উপজেলা চেয়ারম্যানকেও জানিয়েছি।