পাবনার চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছে সেবার মান। এই হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীরা ব্যাতিক্রমধর্মি সেবা পাচ্ছেন। সরকারিভাবে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ওষুধ দেয়া হচ্ছে তাদের। বঙ্গবন্ধুর শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ১৫ আগস্ট থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পাবনা মানসিক হাসপাতালের আদলে সরকারি বরাদ্দের মধ্যেই দেয়া হচ্ছে চার বেলা পুষ্ঠিকর খাবার। দেশের কোন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চার বেলা খাবার দেবার নজির এটাই প্রথম। এতে চিকিৎসার পাশাপাশি শরীরে পুষ্ঠিগুন বেশী পাওয়ায় রোগীদের রোগ দ্রুত নিরাময়ে সহায়ক হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
৫০ শয্যার এ হাসপাতাল সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়,হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মান পূর্বের চেয়ে বর্তমানে ভাল। বেশীর ভাগ ওষুধ হাসপাতাল থেকে দেয়া হচ্ছে। ভর্তিকৃত রোগিরা জানান,বছর খানেক আগেও হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনমত ওষুধ দেয়া হতো না,এমনকি ক্যানোলা-স্যালাইনও বাইর থেকে কিনতে হয়েছে। তিন বেলা খাবার দেয়া হতো কিন্তু সেটা তেমন মান সম্পন্ন ছিলনা। খাবারও কম দেয়া হতো। বর্তমানে তারা ভালো সেবা পাচ্ছেন। চার বার খাবার পেয়ে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. আরমিলা আখতার ঝুমি জানান,বর্তমানে প্রতিদিন বর্হি:বিভাগে গড়ে দেড় থেকে দু’শ জন রোগীর চিকিৎসা সেবাসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ দেয়া হচ্ছে। সাতটি শিশু ও সাতটি প্রসূতি মায়েদের শয্যা রয়েছে। বর্তমানে মাসে গড়ে ৪০-৪৫টি নরমাল ডেলিভারী করানো হচ্ছে। এক্সরে ও ইসিজি এখানেই করানো হয়। আলট্্রাসোনোগ্রাম মেশিন থাকলেও তাদের যোগদানের আগে প্রিন্টার চুরি যাওয়ার কারণে আলট্রাসোনোগ্রামের রোগীদের বাাইরে যেতে হয়। বর্তমানে হাসপাতালের সার্বিক অব্স্থা ও ব্যবস্থাপনায় প্রায় চার লাখ জনঅধ্যুষিত চাটমোহর উপজেলার মানুষ স্বাস্থ্যসেবায় অনেকটাই সন্তুুষ্ট।
চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.ওমর ফারূক বুলবুল বলেন,সরকারি বরাদ্দের মধ্যে সার্বিকভাবে যতটা সম্ভব রোগীদের সেবা দেবার চেষ্টা করছি। জরুরী অস্ত্রপাচার করা রোগীদের সেবা দিতে না পেরে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। অপারেশন থিয়েটার ও যন্ত্রপাতি ভাল থাকার পরেও সার্জারী কনস্যালট্যান্ট ও এ্যানেসথেসিয়ার কোন চিকিৎসক না থাকায় অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সরকারি বিধি বিধানের মধ্য থেকে সার্বিকভাবে রোগীদের সুষ্ঠু চিকিৎসা সেবা ও অধিকার নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি।