দক্ষিণ কোরিয়ার এক কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যার পর তার মৃতদেহও পুড়িয়ে ফেলেছে উত্তর কোরিয়া। এমন দাবি করেছে সিউল। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রবেশ ঠেকাতে উত্তর কোরিয়া সীমান্তে কঠোর নজরদারির যে নির্দেশ দিয়েছে বলে ধারণা করা হয়, তার কারণেই দেশটির সৈন্যরা দক্ষিণের ওই কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। মার্কিন প্রভাবশালী গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানায়, সোমবার ২১ সেপ্টেম্বর উত্তর কোরিয়ার সীমানা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে থাকা অবস্থায় ৪৭ বছর বয়সী ওই মৎস কর্মকর্তা একটি টহল নৌকা থেকে নিখোঁজ হন। পরে অনেক খোঁজ করেও তার সন্ধান মেলেনি। তবে হঠাৎ কেন তিনি উত্তরের সীমান্ত এলাকায় যান এ বিষয়ে ব্যাখা দেয়নি সিউল। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে দক্ষিণের শীষ কর্মকর্তা জেনারেল আন ইয়ং-হো জানায়, ‘আমাদের সেনাবাহিনী এ ধরনের বর্বরতার কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার কাছে এ ঘটনার ব্যাখ্যা চাইছি এবং দোষীদের শাস্তি দেয়ারও দাবি জানাচ্ছি’। দক্ষিণ কর্মকর্তা নিখোঁজ হওয়া নিয়ে দু’দেশের মধ্যে আবারো সামরিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তবে সিউলের পক্ষ থেকে ব্যাখা চাওয়া নিয়ে পিয়ংইয়ং এখনো কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি।