দিনাজপুরের বীরগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের উপর হামলা এবং সীমানা প্রাচীর ভাংচুরের প্রতিবাদে এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রচন্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের শতাধিক লোকজন ওই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে। মানববন্ধনে স্থানীয় সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ একাত্বতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা সদরের বিজয় চত্বরে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রেরণ করে।
ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক কালিপদ রায়, মুক্তিযোদ্ধা এসএমএ খালেক, মুক্তিযোদ্ধা জোতিন্দ্র নাথ রায়, মুক্তিযোদ্ধা বশির আহম্মেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মোঃ শামীম ফিরোজ আলম, উপজেলা উদিচী সভাপতি প্রভাষক প্রশান্ত কুমার সেন প্রমুখ।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বরাবরে প্রেরিত স্মারকলিপি অনুলিপি থেকে জানা যায়, ২০০১সালে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নে মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোজাম্মেল হকের নামে ৫৩শতক খাস জমি পত্তন দেয় সরকার। কিন্তু সেই জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার মাটিয়াকুড়া গ্রামের মোঃ সাহাবুদ্দিনের ছেলে মোঃ উজ্জ্বল ইসলামের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। মুক্তযোদ্ধা মোঃ মোজাম্মেল হকের আবেদনের প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষকে নোটিশ করে গত ১৯আগষ্ট ওই জমির সীমানা নির্ধারন করে দেয় সহকারী কমিশনার (ভূমি)। কিন্তু ২৭আগষ্ট উজ্জ্বল ইসলামের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে সীমানার বেড়া ভেঙ্গে দেওয়া হয়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হকের স্ত্রী বাধা দিতে গেল তাদের উপর হামলা চালায়। এ ব্যাপারে মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে বীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পরে গত ৩১আগষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতায় পাকা প্রাচীর নির্মান করা হলে ২১ সেপ্টম্বর ভোরে উজ্জ্বল ইসলামের নেতৃত্বে আবার ভেঙ্গে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক বীরগঞ্জ থানায় উজ্জ্বল ইসলামকে প্রধান করে ২৫-৩০জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পর পর দুইবার বীরমুক্তিযোদ্ধার বাড়ীতে হামলা চালিয়ে জবর দখল কান্ডের প্রতিবাদে রাজপথে নামে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের উপর হামলা এবং সীমানা প্রাচীর ভাংচুরের ঘটনায় আমরা মুক্তিযোদ্ধারা হতবাক ও নিরাপত্তাহীনতায় অসহায় জীবন যাপন করছি। এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।