ঠাকুরগাঁওয়ে পীরগঞ্জে শিকলে বন্দি হয়ে ২০ বছর ধরে জীবনযাপন করছেন মুক্তারুল, স্ত্রী নাসেরা বেগম এক ছেলে সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছেন। সরকারি সহায়তা চিকিৎসা ব্যবস্থা কিছুই পাননি শিকল বন্দি মানুষটি। বিবাহ করার ২'মাসের মধ্যে হঠাৎ করেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে মুত্তারুল তখন বয়স ছিল ২০ বছর এরপর চিকিৎসা করা হলে কিছুদিন সুস্থ থাকার পর আবার আগের মতো অসুস্থ হয়ে পড়েন। পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসা করা সম্ভব হয়ে উঠেনি মুক্তারুলের। তার বয়স বর্তমানে ৪০'বছর। ২০' বছর ধরে পায়ে শিকল দিয়ে বারান্দার খুঁটির সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে। কিন্তু অর্থের অভাবে এক সন্তানকে নিয়ে কষ্টে দিন কাটছে তার স্ত্রী নাসেরা বেগমের।
নাসেরা বেগম মানুষের বাড়িতে দিনমজুরের কাজ করে কোনমত সংসার চলে। তার বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ১১নং বৌরচুনা ইউনিয়নের ভবানীপুর সল্লাপাড়া গ্রামে। সেখানে তার বাড়িতে ২০'বছর ধরে শিকলবন্দি জীবন পার করছেন মুক্তারুল। তার স্ত্রী নাসেরা বেগম জানান, অর্থের অভাবে তার স্বামী (মুক্তারুলের) চিকিৎসা করাতে পারেনি। মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় গত কয়েক বছর থেকে সে এলাকাবাসী মানুষদের বিভিন্ন ক্ষতি করে আসছে। কারো গরু ছাগল মারধর, মানুষ কে মারধর, অনেকের সবজি ক্ষেত নষ্ট করে ফেলে, মেয়ে মানুষ দেখলে জাপটে ধরার চেষ্টা করে এমন কি নিজের পরিবারের লোকজনদের কাছে পেলে আঘাত করার চেষ্টা করে। কোন উপায় না পেয়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে মুক্তারুলকে। এ বিষয়ে স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য মাসুমা খাতুনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন মুক্তারুল তার পরিবার খুব গরিব তাদের পাশে এগিয়ে আসা উচিত বিত্তবান লোকদের, আমি যতদুর পেরেছি সহায়তা করেছি। ১১নং বৌরচুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বলেন, তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে আমি জানিনা এরপর কোন সরকারি সহায়তা আসলে তাকে সহায়তা করা হবে।