ভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের ধরলা, দুধকুমর, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্রসহ সবগুলো নদণ্ডনদীর পানি কিছুটা কমলেও বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ধরলা নদীর পানি ১২ সেন্টিমিটার কমলেও শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। ফলে ৫ম বারের মতো বন্যায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে বন্যাকবলিত মানুষজন।
দ্রুতগতিতে পানি বাড়ার ফলে পঞ্চম দফা বন্যায় কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট, ফুলবাড়ী ও উলিপুর উপজেলার শতাধিক চর নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৫০ হাজার মানুষ। ডুবে গেছে গ্রামীণ সড়ক। নৌকা ও কলাগাছের ভেলা ছাড়া যাতায়াতের কোন মাধ্যম নেই। প্রায় ৫ হাজার হেক্টর আমন ও সবজি ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে। ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় অনেকেই গবাদী পশু নিয়ে বাঁধ ও রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন। দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। ধরলা অববাহিকার কয়েটি গ্রামে প্রবল স্রােতে ভেসে গেছে শতাধিক ঘর বাড়ি। পানি বাড়ার ফলে বিভিন্ন এলাকায় নদণ্ডনদীর ভাঙন তীব্ররুপ নিয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে বসতভিটা, স্কুল, রাস্তা ও বাঁধ।