অতিবৃষ্টির কারণে খড়শ্রোতা ভোগাই নদীর পানি চলে যাওয়ার পর নয়াবিল ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী স্থানের অন্তত ৬টি স্থানে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। একই সাথে নদীর তীর ভেঙ্গে নয়াবিল ইউনিয়নের দুই কৃষকের বাড়ী নদী গর্ভে চলে গেছে।
অপরদিকে উপজেলার নদী কেন্দ্রীক ৪টি ইউনিয়ন নয়াবিল, রামচন্দ্রকুড়া, নালিতাবাড়ী ও মরিচপুরানে নদী তীর ভেঙ্গে নি¤œাঞ্চলসহ অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, অতিবৃষ্টিপাতে পরবর্তীতে ভোগাই নদীর পানি কমে যাওয়ার পর রামচন্দ্রকুড়া, নালিতাবাড়ী ও মরিচপুরান ইউনিয়নের মত সীমান্তবর্তী নয়াবিল ইউনিয়নের নাকাগাঁও, হাতিপাগাড়, নয়াবিলের ৩টি গ্রামের ৬টি পয়েন্টে নদীর তীর ভেঙে গেছে। একই সাথে নয়াবিলের নাকুগাঁও চারআলী বাজারের পূর্ব দক্ষিনে নদী তীরবর্তী রইছ উদ্দিনের বাড়ী ও আদীবাসী বালা সাংমার নিজস্ব বাড়ীঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
অরর দিকে নয়াবিলের হাতিপাগাড় এলাকার সিরাজ হাজীর জমির সাথে নদীর পাড়, মধ্য হাতিপাগাড় হবি মেম্বারের বাড়ীর পূর্ব পাশে, নয়াবিল পূর্ব পাড়া বাবুল মেম্বারের বাড়ীর নিকট, নয়াবিল বাইনাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা ময়ছর এর বাড়ীর পূর্বপাশে ও তার বাড়ীর দক্ষিনেও ভোগাই নদীর তীব্র ভাংগন দেখা দিয়েছে।
৪নং নয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুছ আলী দেওয়ান বলেন, খড়শ্রোতা ভোগাই নদীর তীব্র পানির স্্েরাতে নয়াবিলের ৩টি গ্রামের ৬টি পয়েন্টে ব্যাপক নদী ভাংগন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নয়াবিল, নাকুগাঁও, হাতিপাগাড় এলাকায় নদীর পশ্চিম পাড়ে তীরবর্তী যে ভাংগন সেখানে নদীর চর হতে বালু কেটে জিও বস্তা করে নদীর তীরে শক্ত করে বাঁধ দিলে নদীর তীর ভাংগা রোধ হবে। একই সাথে সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী, নয়াবিল, নাকুগাঁওয়েতে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভোগাই নদী সংলগ্ন যে হাইওয়ে রোড এটির মাত্র ৫ গজের মধ্যে নদী ভাংগন চলে এসেছে। এটি ্এখনই ঠিক না করা হলে এই মহাসড়কও নদী গর্ভে চলে যাবে। এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম মাসুম এই এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন।