নেত্রকোনার দুর্গাপুর কুল্লাগড়া ইউনিয়নের শশারপাড় এলাকায় বজ্রপাতে মুক্তা আক্তার (১৬) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। ২৬ সেপ্টেম্বর শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঐ ইউনিয়নের ভবদেব পাড়াস্থ সালামের বাড়ির পাশে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। নিহত মুক্তা আক্তার ঐ ইউনিয়নের ভূলিপাড়া গ্রামের শহীদ মিয়ার কন্যা। সে রানীখং উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত মুক্তা আক্তার শশারপাড় গ্রামে চ্যালেঞ্জ কোচিং সেন্টারে পড়ার উদ্দেশ্যে বেলা সোয়া তিনটার দিকে বাড়ি থেকে রওনা হন। ভবদেব পাড়া সালামের বাড়ির পাশে যাওয়া হঠাৎ বজ্রপাতের আঘাতে শরীরের মুখমন্ডল সহ সামনের পুরো অংশ পুড়ে যায়। স্থানীয়রা তাঁকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার চেস্টা করলে পথিমধ্যে ঐ শিক্ষার্থী মারাযায়। পরে তার লাশ নিহতের বাড়িতে নিয়ে যান বলে জানান ঐ শিক্ষার্থীর মামা আবুচাঁন মিয়া।
শশারপাড় গ্রামে গড়ে ওঠা চ্যালেঞ্জ কোচিং সেন্টারের পরিচালক ও শিক্ষক জুনায়েদ আহমেদ এর নিকট জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, শনিবার প্রতিদিনের মতো সাড়ে তিনটার পর কোচিং শুরু হয়। মুক্তা আক্তার কোচিংয়ে আসার পথে বজ্রপাতে দূর্ঘটনার শিকার হওয়ার কিছুক্ষণ পর সে মারা যায়। তবে ঐ শিক্ষার্থী মারা যাওয়ার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন প্রতিবেশি মামা শামস্উুদ্দিন। অপর প্রশ্নে করোনা ইস্যুতে কোচিং খোলা কেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি আমতা আমতা করে মুঠোফোনের সংযোগ কেটেদেন।
দুর্গাপুর থানার ওসি শাহ্ নুর-এ আলম এ প্রতিবেদককে জানান, এ বিষয়ে নিহতের স্বজনরা এখনো থানায় আসেননি। কেবল খবর পেয়েছি বজ্রপাতে এক শিক্ষার্থী মারা গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত পূর্বক এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।