রাঙ্গামাটিতে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে ‘পর্যটন এবং গ্রামীন উন্নয়ন’ এই প্রতিপাদ্যে বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত হয়েছে।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বিভিন্ন বিষয়ে রচনা প্রতিযোগীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিল্পী রানী রায়, রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশন’র ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা, রাঙ্গামাটি পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ তাছাদ্দিক হোসেন কবিরসহ বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রী এবং সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ পর্যটন শিল্প উন্নয়নের এক অমিত সম্ভাবনার দেশ। আর রাঙ্গামাটি জেলায় পর্যটন শিল্প বিকশিত করতে এখানে রয়েছে এশিয়ার সর্ববৃহৎ কাপ্তাই হ্রদ এবং অসংখ্য পাহাড় ও ঝর্ণা। অতীতে যেভাবে পর্যটন শিল্পকে অবহেলা করা হয়েছে, সেভাবে এই শিল্পকে অবহেলা করলে রাঙ্গামাটিতে পর্যটন শিল্প বিকশিত হবে না। এজন্য সকলের সম্বলিত প্রচেষ্ঠা দরকার। আর সারা দেশের চাইতে এ জেলার বৈচিত্র্য এবং সংস্কৃতি ভিন্ন। যা পৃথিবীর অন্য কোথাও দেখা যায় না। এ জেলার সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য দেখার জন্য প্রতিবছর হাজারো মানুষ এই পার্বত্য এলাকায় ভিড় জমায়।
কিন্তু আগত এসব পর্যটকদের এ জেলার সংস্কৃতি এবং বৈচিত্র্যের সুন্দর্য্য উপভোগ করতে নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত। পর্যটকদের জন্য নিরাপত্তা, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, থাকাণ্ডখাওয়ার সুবিধাদি এবং পর্যটন স্পটগুলো যদি আরো উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি করতে সরকারে পাশাপাশি উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসে তাহলে এ জেলায় পর্যটকের অভাব হবে না।
সভায় বক্তারা আরো বলেন, সম্প্রতি পর্যটন শিল্প দেশের আর্থ-সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক উন্নয়নে সরকার ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আর এর অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যুগ যুগ ধরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকদের আকৃষ্ট করেছে। প্রকৃতি নির্ভর এই শিল্প পর্যটন উন্নয়নের মাধ্যমে পরিপূর্ণ সংরক্ষণ নিশ্চিত করে আমাদের এ সম্পদকে সুরক্ষার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
শেষে বিভিন্ন রচনা প্রতিযোগীতাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।