সুফল পাবে ৩ হাজার পরিবার
ঘন্টায় ১ লাখ ৮০ হাজার লিটার পানি সরবরাহের ক্ষমতা
বাস্তবায়ন করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর
ঝিনাইদহের মহেশপুরে চার কোটি টাকা ব্যয়ে আর্সেনিক ও আইরণ রিমোভাল পানির প্লান্ট স্থাপনের কাজ শেষ পর্যায়ে। প্রতি ঘন্টায় এক লাখ ৮০ হাজার লিটার পানি সর্বরাহের ক্ষমতা সম্পন্ন এই প্লান্ট থেকে মহেশপুর পৌর বাসির প্রয়োজনীয় বিশুদ্ধ পানির চাহিদা মিটাতে কাজ করবে। জেলার প্রথম বৃহত এ বিশুদ্ধ পানির প্লান্টটি তৈরির কাজ করছে জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। সরকারের ৪৫ পৌরসভা প্রকল্পের আওয়তায় এ প্লান্ট স্থাপনের কাজ চলছে।
মহেশপুর উপজেলা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কপোতাক্ষ নদের জলিলপুর অংশে এ প্লান্টটি স্থাপনের কাজ চলছে। কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন যে কোন সময় উদ্বোধন করা হবে। পৌর এলাকার ছয়টি সাব মর্সেবল পাম্পের সাহায্যে ভূগর্ভ থেকে পানি উত্তোলন করার পর প্লান্টে হাউজে রাখা হবে। এরপর কোন রকমের ক্যামিকেল দ্রব্য ছাড়ায় প্রাকৃতিক প্রদ্ধতিতে পানি শোধন করার পর তা তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার পৌর বাসির মধ্যে সর্বরাহ করা হবে।
মহেশপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে অধিবাসি তাজিম খান জানান, ভারতীয় সীমান্তবর্তি জেলার মহেশপুর পৌরসভার ভূগর্ভস্থ পানিতে প্রচুর পরিমানে আইরণ। এ ছাড়া এ এলাকার অনেক টিউবওয়েলে আর্সেনিক বিষ রয়েছে। যে কারণে পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্টটি চালু হলে এলাকার মানুষ সুফল পাবে।
মহেশপুর পৌরসভার মেয়র আবদুর রশিদ খাঁন জানান, পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্টের কাজ শেষ পর্যায়ে। এখান থেকে পৌর এলাকার তিন হাজার পরিবারকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সর্বরাহ করা হবে। তিনি আরো জানান, মহেশপুর পৌর এলাকার পানিতে মাত্রাতিরিক্তি আইরণ ও আর্সেনিক রয়েছে। যে কারণে প্লান্টটি চালু হলে একদিকে পৌরবাসির বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত হবে, অন্যদিকে পানি বাহিত বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা পাবে।
ঝিনাইদহ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, নাগরিকদের বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করায় এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। সরকারের ৪৫ পৌরসভা প্রকল্পের আওতায় এ বিশুদ্ধকরণ প্লান্টটির কাজ করা হচ্ছে। প্লান্টটি চালু হলে মহেশপুর পৌরসভায় বসবাসকারী নাগরিকদের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত হবে।