নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য জোসনা বেগম ও তার স্বামী রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীদের ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে আত্মসাৎ টাকা ফেরত দিতে বলায় ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান শাহ দুলুকে হত্যার হুমকি দিয়েছে ওই স্বামী- স্ত্রী। এ ঘটনায় ২৬ সেপ্টেম্বর ইউপি চেয়ারম্যান থানায় সাধারণ ডায়রী করেছেন। উপজেলা সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে উপজেলায় ১ হাজার ৫শ ৪০ জন প্রিিতবন্ধীকে সরকার প্রদত্ত প্রিিতবন্ধী ভাতাভোগীর আওতায় আনা হয়। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী গত পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে প্রত্যেক ভাতাভোগী ৭শ ৫০ টাকা মাসিক হারে ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত ১ বছরের ভাতা বাবদ মোট ৯ হাজার করে টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে পাওয়ার কথা। অভিযোগের সূত্র ধরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাহাগিলি ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য জোসনা বেগম ও তার স্বামী রুবেল হোসেন ৩জন প্রতিবন্ধীর স্বাক্ষর জাল করে মোট ২৭ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন। ১ নম্বর ওয়ার্ডের নমির উদ্দিনের স্ত্রী ফজিলা বেগম জানান, সরকারিভাবে আমার প্রতিবন্ধী মেয়ে নমিজা আক্তারের নামে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড হলেও এখন পর্যন্ত ভাতার বই কিংবা ভাতার টাকা কোনটাই পাওয়া যায়নি। উপজেলা সমাজসেবা অফিসের তালিকায় বাহাগিলি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিবন্ধী ভাতার তালিকায় ৩১ নম্বর সিরিয়ালে নমিজা আক্তারের নাম রয়েছে। তার ভাতা বহি নম্বর-২৮৫৪। বাহাগিলি ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডে এরকম ভাতাভোগী সেকেন্দার আলীর সিরিয়াল নম্বর ৩২, ভাতা বহি নম্বর-২৮৫৫ এবং ফেরজুল মিয়ার সিরিয়াল নম্বর ২৯ ও ভাতা বহি নম্বর-২৮৫২। তাদের প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা তো দূরের কথা এখনও ভাতার বইও হাতে পাননি তারা। ওই ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের স্বামী রবেল মিয়া তাদের সই জাল করে সমাজসেবা অফিসের লোকজন এবং ব্যাংক কর্মকর্তার যোগসাজশে ভাতার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়। তারা জানায় এখন পর্যন্ত তাদের হাতে ভাতার বই বা টাকা দেয়া হয়নি। বাহাগিলি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান শাহ দুলু জানান, আমি তাদের বারবার বলে আসছি ওই ৩ প্রতিবন্ধীর বই ও টাকা ফেরত দিতে। কিন্তু তারা কোনভাবে প্রতিবন্ধীর ভাতার বই ও টাকা কার্ডধারীদের দিচ্ছেনা। এ অবস্থায় গত শনিবার সকালে সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য জোসনা বেগম ও তার স্বামী আমাকে প্রানে মেওে ফেলার হুমকি দেয়। আমি বাধ্য হয়ে থানায় তাদের নামে দুপুরে জিডি করে এবং বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করি।
কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি আবদুল আউয়াল জানান, এ ঘটনায় বাহাগিলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান শাহ বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ থানায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে সাধারন ডায়েরী করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইননানুগ ব্যবস্থা নেয়াা হবে।