নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৩নং ডমুরুয়া ইউনিয়নের কানুরচর ৭ ওয়ার্ডে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ৩টি পরিবার বিগত দুইমাস যাবত খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। অর্থের অভাবে বসতঘর নির্মান করতে না পেরে একটি খুবড়ি ঘরের মধ্যে পরিবারের ১৫ সদস্য নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন নিরিহ ওই পরিবারটিকে মাথা গোজার ঠাই করে দেন।
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ইউসুফ আলী ও রিনা বেগম জানায়, গত কোরবানীর ঈদের আগের দিন ৩১ আগস্ট গভীর রাতে তাদের বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডে ঘটনায় তিনটি বসতঘরপুড়ে সম্পুর্ন ছাঁই হয়ে যায়। ওই অগ্নিকান্ডের তাদের টাকা ,পয়সা, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র,ধান,চাউল পুড়ে যায়।
পরে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগীতায় পুড়ে যাওয়া টিন দিয়ে একটি খুবড়ি ঘর তৈয়ারী করে ওই ঘরে গাদাগাধি করে পরিবারের ১৫ সদস্য বসবাস করছে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর সেনবাগ উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে তিন পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে ৩০ হাজার টাকা অনুদান দিলেও তাদের ঘর নির্মান করার মতো সামথ্য না থাকায় ওই খুবড়ি ঘরেই মানবেতর জীবন যাপন করছে।
ডমুরুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইয়াছিন কন্টাক্টর অসহায় পরিবারটি তিনটি ঘর নির্মান করে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট জোর দাবী জানান।
ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সেক্রেটারী মোঃ সোলাইমান মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা দিয়েছে কেউ গৃহহীন থাকবেনা। তাই তার দাবী প্রধানমন্ত্রী যেন অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোকে ঘরের ব্যবস্থা করে দেন।
ডমুরুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাখাওয়াত হোসেনের দাবী পরিষদের পক্ষ থেকে ৩০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন তা অপ্রতুল। এই টাকা দিয়ে তারা খাবে নাকি ঘর করার জন্য কাঠ-বাঁশ ক্রয় করবেন। তাই প্রধানমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নিকট দাবী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ওই পরিবারটিকে অনন্ত একটি ঘর নির্মান করে দেওয়ার জন্য।
এব্যাপারে সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম মজুমদার জানান,ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারটিকে ইতোমধ্যে পরিষদের পক্ষ থেকে ৩০ হাজার অনুদান দেওয়া হয়েছে। তিনি খোঁজ নিয়ে দেখেছেন তারা খোলা আকাশের নিছে মানবেতন জীবন যাপন করছেন। তাই তাদের ঘর করার টিনের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত ভাবে অবহিত করা হয়েছে। শিগ্রই একটি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।