পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ (চাটমোহর) এর এক কর্মচারীকে ৫দিন ধরে অফিসে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে ওই কর্মচারী কর্তৃক বিদ্যুৎ বিলের ৫ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার ওই কর্মচারীকে চাটমোহর থানা পুলিশ তার পিতার কাছে হস্তান্তর করেছে। কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বরখান্ত করাসহ ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠণ করেছে।
জানা গেছে,রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের আবুল বাছেদ আকন্দের ছেলে ফিরোজ আকন্দ (২৫) পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর লাইনম্যান হিসেবে চাকুরি করতেন। চাটমোহর উপজেলার শরৎগঞ্জ অভিযোগ কেন্দ্রের অধীনে কর্মরত ছিলেন। এই সময় হাদল এলাকায় ২জন টেলিটকের রিটেইনার রয়েছেন। বিদ্যুৎ গ্রাহকরা টেলিটক রিটেইনারের কাছে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেছেন। রিটেইনার এসএম-এর মাধ্যমে টাকা পরিশোধ না করে ৫ বারের টাকা ওই লাইনম্যানের কাছে দেন। তিনি টাকা জমা না দিয়ে তা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনা জানার পর লাইনম্যান ফিরোজকে সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। তখন থেকেই তাকে অন্য লাইনম্যানের সাথে থাকছিল। সে ১ লাখ ২১ হাজার টাকা নিয়েছে,সে মর্মে স্বাক্ষর রয়েছে। বাকি টাকা বিষয়ে সে মৌখিক স্বীকারোক্তি দিলেও লিখিত দেয়নি। লাইনম্যান ফিরোজ সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন,তাকে সদর দপ্তরে এনে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে। জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি পত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করে কর্তৃপক্ষ।
এবিষয়ে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মাশফিকুল হাসান বলেন,বিষয়টি তদন্তনাধীন। ওই লাইনম্যান টাকাটা নিয়ে তা জমা দেয়নি। সে তো মৌখিক স্বীকারোক্তি দিয়েছে। এখন অন্যভাবে তা বলার চেষ্টা করছে। লাইনম্যানকে নিরাপত্তা দিতে গিয়ে আমিই নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছিলাম। বিষয়টি থানার ওসি সাহেবকে বলেছিলাম। লাইনম্যান যেভাবে উল্টা-পাল্টা বলছিল,তাতে আমি তাকে থানাতে পাঠিয়ে দেই। তার বাবা এসে নাকি নিয়ে গেছেন। তিনি জানান,একজন ডিজিএম কে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠণ করা হয়েছে। আমরা টেলিটক রিটেইনারকেও চিঠি দিয়েছি। তিনি দাবি করেন লাইনম্যানকে আটকে রাখা বা নির্যাতন করার বিষয়টি মোটেও সত্য নয়।
চাটমোহর থানার ওসি মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান,আমরা লাইনম্যান ফিরোজকে শনিবার তার পিতা আবু বাছিদ আকন্দের কাছে হস্তান্তর করেছি। বিষয়টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আর্থিক অনিয়ম,তারাই ব্যবস্থা নেবে।