নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় স্বল্প খরচে দরিদ্র পরিবারদের ডিপটিউবয়েল দিচ্ছে লক্ষীর ভান্ডার কল্যাণ সমিতি নামের একটি সংগঠন। সূত্র জানায়, লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া এলাকায় ২০১৯ সালে স্থানীয় যুবদের নিয়ে গঠন করা হয় লক্ষীর ভান্ডার কল্যাণ সমিতি নামের একটি সংগঠন। সংগঠনের সভাপতি সম্প্রাট ঘোষ বলেন, আমাদের লোহাগড়ার প্রায় সব গ্রামেই টিউবয়েলের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক বিদ্যমান। যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই দরিদ্র মানুষদের বাড়ি বাড়ি ডিপটিউবয়েল স্থাপন করবার প্রকল্প হাতে নিয়েছি। সমিতির সদস্যরা প্রতি সপ্তাহে দুইশ টাকা করে জমা দেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পরিষদ নড়াইল জেলার আহ্বায়ক ইমরান চৌধুরী এবং পরিচালক বিউটি রাণী মন্ডল জানান, মাত্র আট হাজার টাকায় সাড়ে সাতশ ফিট বা তার অধীক গভীর করাসহ টিউবয়েলের গোঁড়া পাঁকা করে টিউবয়েল স্থাপন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে দিঘলিয়া, তালবাড়িয়া, কুমড়ি, দিঘলিয়া পূর্বপাড়, চরদিঘলিয়া, লটিয়া এবং কোটাকোল গ্রামে ১৫টি ডিপটিউবয়েল স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সমগ্র লোহাগড়া উপজেলায় সংগঠনটি এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। সংগঠনের ৪১ জন সদস্য নিজেদের জমানো টাকাসহ উদারমনের কিছু মানুষের সহযোগিতায় দরিদ্র মানুষের বিশুদ্ধ পানির চাহিদা পূরণ করতেই স্বল্প খরচে ডিপ টিউবয়েল স্থাপন করছে।
সোমবার(২৮ সেপ্টম্বর) সকালে দিঘলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নীনা ইয়াছমিন দিঘলিয়া সদর ও দিঘলিয়ার পালপাড়ায় প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, দরিদ্র মানুষের জন্য স্বল্প খরচে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করার উদ্যোগটি প্রশংসনীয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরদার আবদুল হাই বলেন, স্থানীয় যুবদের জমানো নিজের টাকাসহ উদার মনের বৃত্তবানদের সহযোগিতায় এ সংগঠনটি সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে। সুবিধাভোগী দিঘলিয়া পালপাড়ার কিবরিয়া মোল্যা(৪০) ও দিঘলিয়ার ফিরোজা বেগম(৭৫) বলেন, সামর্থের মধ্যে ডিপটিউবয়েল পেয়ে উপকৃত হয়েছি।
প্রকল্প পরিদর্শকালে সংগঠনের সদস্য মোঃ মাজেদুল হক, মোঃ মাহমুদ খন্দকার, মোঃ আনিসুল হক, চন্ডি ঘোষ, মিলন মোল্যা, মুন্না ফকির, কাজী সাইদুল ইসলাম, খান রুহল আমীন, হরিচান ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।