ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সংঘাত বন্ধে দু দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে টেলিফোনে কথা বলেছেন। এ সময় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় দু’দেশকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন জারিফ। রোববার রাতে মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ, আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাহরাব মেনাতসেকানিয়ান ও আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিহুন বাইরামোভকে টেলিফোন করেন। এ সময় তিনি দু’দেশের সীমান্ত পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক আখ্যায়িত করে বলেন, এ সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে দু’দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করতে তেহরান সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। এর আগে কারাবাখ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ওই অঞ্চলে রোববার সকালে দু’দেশের সেনাবাহিনী পরস্পরের উদ্দেশ্যে ভারী গোলাবর্ষণ করে। গত কয়েক মাস ধরে সীমান্ত উত্তেজনা নিরসনে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের পক্ষ থেকে তেমন কোনো উদ্যোগ না নেয়ার পর এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান উভয় দেশ ‘বিনা উসকানিতে আগে গোলাবর্ষণ’ করার জন্য পরস্পরকে অভিযুক্ত করেছে। এর আগে গত জুলাই মাসে দু’দেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষে বেশ কিছু মানুষ হতাহত হয়। ১৯৮০’র দশকের শেষদিকে কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। ১৯৯৪ সালে দু’পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এ সংঘর্ষে ৩০,০০০ মানুষ প্রাণ হারায়। কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভেতরে হলেও ইয়েরেভান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছে আর্মেনীয় বংশোদ্ভূতরা।