দিনাজপুরের পার্বতীপুরে এক আদিবাসী কিশোরী (১২) কে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ওসমান গণি (৩০) নামে এক নির্মাণ শ্রমিককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্ত ওসমান গণি পার্বতীপুর উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের গুড়গুড়ি খাট্টার ডাঙ্গা গ্রামের মৃত আসকার আলীর ছেলে। বর্তমানে সে পুলিশ পাহারায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত রোববার রাত পোনে ১২ টার দিকে রহিরামপুর ইউনিয়নের খাগড়াবন্দ সুহারকাটি আদিবাসী (সাওতাল) পল্লীর নিজ বাড়ীতে বড় দু’বোনসহ মাটির ঘরে ঘুমিয়ে ছিল ঘটনার শিকার ওই কিশোরী। তার বাবা-মা ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিল। এমন সময় পাশ্ববর্তী গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক ওসমান গনি সন্তর্পনে শোভার ঘরে ঢুকে আদিবাসী কিশোরী (১২)’র মুখে কস্টেপ ও সুপারগ্লু লাগিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তার চিৎকারে বাড়ীর লোকজন ও গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। এতে অভিযুক্ত ওসমান গণি কিশোরীকে ফেলে পালিয়ে যাওয়া চেষ্টা করে। পরে গ্রামবাসী এক কিলোমিটা ধাওয়া করে তাকে আটক করে। সোমবার দুপুরে পুলিশ অভিযুক্ত ওসমান গণি ও ঘটনার শিকার ওই কিশোরীকে থানায় নিয়ে আসে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে পার্বতীপুর মডেল থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা (ডিউটি অফিসার) সহকারি উপপরিদর্শক লিপি খাতুন জানান।
বাংলাদেশ জাতীয় আদিবাসী পরিষদদের সভাপতি রবিন্দ্র সরেন বলেন, সাম্প্রতিককালে পার্বতীপুরে আদিবাসী ধর্ষন ও তাদের পৈত্তিক সম্পত্তি বেদখলের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি ব্যবস্থা হয়নি। আজকের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির উপযুক্ত শাস্তির জন্য আইনশৃংখলা বাহিনী ও প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।