কলারোয়ায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করে বাদী এখন বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে-উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামে। সোমবার (২৮সেপ্টেম্বর) বিকালে মামলার বাদী শ্রী বিশ^জিৎ রায় জানান-তার পিতা মুকুন্দ রায় নালিশী জমিতে আমগাছ, মেহগনী ও বাঁশ বাগান লাগিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখল করে আসছে। কিন্তু প্রতিপক্ষ সাধণ বিশ^াসের কুপরামর্শে বিবাদী পুলিন্দ রায়, লক্ষী রানী রায়, লক্ষণ রায়, বন্ধনা রানী, সাধন বিশ^াস, হাসেম আলী ও মুজাদ দফাদার বাদীর পিতাকে বিভিন্ন ভাবে ক্ষয়ক্ষতি করার চেষ্টা করে আসছে। গত ৩১ আগস্ট সকাল ৭টার দিকে বিবাদীগণ দলবদ্ধ হয়ে বে-আইনী জনতায় লাঠি, শাবল, দা, কোদালসহ বিভিন্ন অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তফশীল সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশ করে বাদীর পিতাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে। বাদী বিবাদীদের কথায় প্রতিবাদ করিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তফশীল সম্পতি হতে মেহগুনি ও বাঁশ গাছ কেটে নেয়। যার মুল্যে ৮৫ হাজার টাকার মতো। পরে মামলার বাদী এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহিত আলাপ আলোচনা শেষে সাতক্ষীরার বিজ্ঞ আমলী আদালতে ৯জনকে বিবাদী করে একটি সিআর-১৭৭/২০ মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি গ্রহন করে কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদেশ দেন। সে অনুযায়ী দেয়াড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবর রহমান মফে গত২২সেপ্টেম্বর মামলার বাদী ও বিবাদীতে সকল কাগজপত্রসহ ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্য আদালতে ২৯ তারিখ সকালে হাজির হওয়ার জন্য নোর্টিশ প্রদান করেন। এই নোর্টিশ পাওয়ার পরে বিবাদী পক্ষরা মামলার বাদীকে খুন জখম করার জন্য বাড়ীর চার পাশে ২৪ ঘটনা ডিউটি করছে। এমতবস্থায় মামলার বাদী সন্ত্রাসীদের মহড়া দেখে বাড়ী ছেলে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পরে মামলার বাদী শ্রী বিশ^জিৎ রায় বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০৭/১১৭ধারায় আরো একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৩৩৫/২০। এদিকে মামলার বাদী শ্রী বিশ^জিৎ রায় জানান-তার ভ্রাতা শ্রী পুলিন্দ্র কুমারের ৭টি দাগে ৩.৯৩শতক জমি আছে। ভ্রাতা শ্রী পুলিন্দ্র কুমার তার সন্তান সন্তাদির নিয়ে ভারতে যাইবার ইচ্ছে পোষন করে জায়গা জমি বিক্রয় শুরু করে। এমন সময়ে বাস্ত ভিটা সহ তার ভিটা বাড়ী এক অংশে হওয়ায় তিনি ওই জমি খরিদ করিতে ইচ্ছে পোষণ করিলে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থতায় ৩৪.৫ শতক জমির মূল্য সাড়ে ৭লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তিনি সাথে সাথে ৭লাখ টাকা ভ্রাতা শ্রী পুলিন্দ্র কুমারকে প্রদান করেন। যাহা ওই সময় ৩শত টাকার স্টাম্পে বায়নাপত্র করা হয়। এ সময় বলা হয় ভ্রাতা শ্রী পুলিন্দ্র কুমার সুযোগ বুঝে জমি রেজিষ্ট্রি করে দেবেন। এদিকে তার জমি লিখে না দিয়ে প্রতারণা করে গোপনে প্রতিবেশী মৃত সুধীর বিশ^াস এর ছেলে শ্রী সাধন বিশ^াসের কাছে অধিক মুল্যে ওই জমি বিক্রয় করা পায়তারা করে আসছে। তিনি নিরুপায় হয়ে এলাকাবাসীর সাথে আলাপ আলোচনা করে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্ট্রেট আদালতে জমি রেজিষ্ট্রি করার দাবী জানিয়ে একটি পিটিশন দাখিল করেন। এ বিষয়ে দেয়াড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবর রহমান মফে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন-পুলিন্দ্র কুমার টাকা নিয়েছে অথচ জমি লিখে দিচ্ছে না। অসহায় পরিবারটি জমি রেজিষ্ট্রি করার আশায় বিভিন্ন লোকের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। এদিকে শ্রী পুলিন্দ্র কুমার তার মেয়ে ও ছেলেকে দীর্ঘ দিন ধরে ভারতে রেখেছে। এমনকি তার মেয়েকে ভারতে বিয়ে পর্যন্ত দিয়েছে। যে কোন সময় জমি বিক্রয় করে শ্রী পুলিন্দ্র কুমার ভারতে চলে যেতে পারে বলে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রী মুকুন্দ কুমার রায় সাংবাদিকদের জানান। তিনি আরো জানান-তার ভ্রাতা শ্রী পুলিন্দ্র কুমার আদালতে মামলা চলাকালে ৩১আগস্ট সোমবার সকাল থেকে ওই বিরোধ পূর্ণ জমি থেকে কয়েক শত বাঁশ কেটে বিক্রয় করে দিয়েছেন। তিনি খবর পেয়ে বাঁশ কাটতে নিশেষ করিলে তার ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো দা নিয়ে ধাওয়া করে অর্কত ভাষায় গালি গালাজ করে লাঞ্চিত করে। তিনি সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানিয়ে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।