উত্তরাঞ্চলে স্মরণকালের রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টির ফলে দেশের সর্ববৃহৎ নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় পানি প্রবেশ করেছে। পানি কারখানায় প্রবেশ করায় কারখানার কয়েকটি শপে সার্বিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে দুই দিন ধরে। কিছু শপের পানি কর্মচারীরা নিজেরাই সেচে কোন রকমে কাজ শুরু করলেও লোকো মেশিন শপের অবস্থা করুণ। সৈয়দপুর শহরের অধিকাংশ এলাকায় বৃিিষ্টর পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এ থেকে রেহাই পায়নি সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাও। অতি বৃষ্টিতে কারখানার ২৫টি শপের প্রায় প্রতিটিতেই চাল দিয়ে পানি পড়ে এবং বাইরের অংশে অধিক মাত্রায় পানি জমে উপচে শপগুলোতে ঢুকে পড়ে। এতে কারখানার শপগুলোও পানিতে তলিয়ে যায়। মেশিনপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জমাদি ভিজে একাকার হয়ে পড়ে। ২৭ সেপ্টেম্বর সারাদিনে কিছু পানি সরে যাওয়ায় কয়েকটি শপে কাজ করা গেলেও লোকো মেশিন শপের পানি সরানো সম্ভব হয়নি। এ কারণে এই শপে রোববার ও সোমবার কোন কাজ করা যায়নি। তাছাড়া মেশিনগুলোতে পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করেন কর্মচারীরা।
এ ব্যাপারে লোকো মেশিন শপের ইনচার্জ মোশারফ হোসেন বলেন, শনিবারের বৃিিষ্টর কারণে রোববার কাজ করা যায়নি। তবে সোমবার পানি অনেকটাই সরে গেছে এবং আমরা যথারীতি কাজ করেছি।
কারখানার শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, রেলওয়ের উন্নয়নে সরকার পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু সে বরাদ্দের অর্থ ব্যয় করে যে কাজ করা হচ্ছে- তা মানসম্পন্ন না হওয়ায় সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। বিশেষ করে প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয়ে কারখানার শেড বা উপরের চাল সংস্কার করা হলেও এখনও অধিকাংশ শপে একটু বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে। তাছাড়া ঝড়ো বৃিিষ্ট হলে পানি ছিটকে ঢুকে পড়ে শপগুলোতে। অতিরিক্ত পানি ঢুকে পড়লে তা নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই। লোকবল সংকট থাকায় যেমন কারখানার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি পানি নিষ্কাশনের জন্য লোকের অভাব থাকায় যথাসময়ে পানি সেচ দিয়ে সরানো যায় না।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) জয়দুল ইসলাম জানান, চলমান বৃষ্টির ফলে লোকো মেশিন শপে পানি জমলেও তা দ্রুত অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে এবং কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।