সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে প্রতীকী লাশ নিয়ে সোমবার বিকেলে কুড়িগ্রাম পৌঁছান হানিফ বাংলাদেশী। ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তের উদ্দেশ্যে একক পদযাত্রায় বের হানিফ বাংলাদেশি। পায়ে হেটে ১৮তম দিনে কুড়িগ্রাম স্টেশন এলাকায় পৌছলে রেল, নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণ কমিটির পক্ষ থেকে তাকে স্বাগত জানানো হয়। এ সময় গণ কমিটির নেতা তাজুল ইসলাম, আব্দুল কাদের ও খন্দকার আরিফ তাকে স্বাগত জানান।
গত ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে একক পদযাত্রা শুরু করেন হানিফ বাংলাদেশি। হানিফের বাড়ি নোয়াখালি জেলা সদরের জাহানাবাদ গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল মান্নান। তিনি চট্রগ্রাম সিএন্ডএফ এজেন্সিতে কমিশনে কাজ করেন।
হানিফ জানান, গত সামবার কুড়িগ্রাম শহরে রাত্রিযাপন করেন এবং মঙ্গলবার সকালে ফুলবাড়ী উপজেলা শহরের উদ্দেশে পদযাত্রা করেন তিনি। সেখান থেকে পদযাত্রার ২০ তম দিনে বুধবার সকালে উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা করবেন। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি এই সীমান্তেই বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারান বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী। ফেলানীর বাবা-মার সঙ্গে হানিফ সাক্ষাৎ করবেন বলেও জানান।
পদযাত্রা সম্পর্কে হানিফ বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত প্রতিবেশী ও বন্ধু রাষ্ট্র। আমরা চাই ভারত প্রতিবেশীর সঙ্গে মানবিক আচরণ করুক। কিন্তু প্রতিনিয়ত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ বিভিন্ন ঠুনকো অজুহাতে নিরীহ বাংলাদেশিদের হত্যা করে চলছে। আওয়ামীলীগের ১২ বছরের শাসনামলে ৫০০ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বিএসএফ। এভাবে নানা অপবাদ দিয়ে বাংলাদেশীদের হত্যা বন্ধ করার দাবি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, হানিফ বাংলাদেশী ২০১৯ সালে ০৬ মার্চ জনগণের ভোটের অধিকারের জন্য পায়ে হেটে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়ে ১২ এপ্রিল পৌছান। এছাড়া ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেশের ৬৪ জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাত করে স্মারকলীপি প্রদান করে বলে জানা যায়।