জেলার আশুগঞ্জে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের ভেতর থেকে রাজেশ বিশ্বাস (২৩) নামের নৈশপ্রহরীকে হত্যার ঘটনায় রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে আশুগঞ্জে ব্যাংকটির শাখা থেকে তার হাত, পা ও মুখ বাঁধা রক্তাক্ত মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রাজেশ সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার চান্দপুর এলাকার ক্ষিরোদ বিশ্বাসের ছেলে।
এই ঘটনায় পুলিশ জামাল হোসেন ওরফে মাসুদ (২৪), জামিল (২৮), মাসুম কবির (৩৮) ও সাদ্দাম হোসেন (২৭) নামের চারজনকে গ্রেফতার করেছে।
এ বিষয়ে বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে বিস্তারিত জানাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানান, আমরা প্রাথমিকভাবে ক্রাইম সিন পর্যালোচনা করি। এ সময় হত্যাকারী একটি ল্যাপটপ ও দুইটি মোবাইল নিয়ে যায়৷ চারজনকে সনাক্ত করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে। এরমধ্যে মাষ্ঠার মাইন্ড সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে জামাল হোসেন ওরফে মাসুদ ১৬৪ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে৷ আটক মাসুদ জানায় ঘটনার সাথে ৪জন ছাড়াও আরও অেেকরই নাম প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, হত্যাকারীরা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করতে পরিকল্পনা করেছিলেন। এই ঘটনার আগে হত্যাকারীরা ব্যাংকের আশপাশ এলাকা র্যাকি করে। একটি জানালা প্রায় অরক্ষিত ছিল। জানালার গ্রিল কেটে ব্যাংকের ভেতরে ৪জন ঢুকে, একজন বাইরে পাহারারত থাকেন। ব্যাংকে ঢুকার পর কিছু সময় অবস্থান করার পর তারা সিসি ক্যামেরা অচল করে দেন। এরপর ব্যাংকের ভেতরে রাজেশ বিশ্বাসকে তাদের হাতে থাকা শাবল ও র্যাঞ্জ দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) রহিজ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) আবু সাঈদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর) মকবুল হোসাইন, সহকারী পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আলাউদ্দিন চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার (সরাইল) আনিছুর রহমান সহ ডিআইও-১ সহ জেলার সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।