রংপুরের পীরগঞ্জে প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে ইউএনও নেই। উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা এ্যাসিল্যান্ড) কে দিয়ে ভারপ্রাপ্ত ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় কাজকর্মে নানা ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছে উপজেলাবাসী। সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনও ওয়াহিদা খানম গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে সরকারী বাসভবনে দুর্বৃত্তের হামলায় আহত হন। ইউএনও ওয়াহিদা খানমের স্বামী মেজবাউল হোসেন ইউএনও হিসেবে ২২ জুন- ২০২০ তারিখে পীরগঞ্জে যোগদান করেন। পরবর্তীতে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের এপিডি অনুবিভাগ থেকে ওয়াহিদা খানমকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) এবং তার স্বামী মেজবাউল হোসেনকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে গত ১২ সেপ্টেম্বর বদলী করা হলে উল্লিখিত দু’উপজেলায় ভারপ্রাপ্ত ইউএনও দিয়ে অফিস চালানো হচ্ছে। ৪ ইউনিয়ন বিশিষ্ট ঘোড়াঘাট উপজেলায় ইউএনও দেয়া হলেও ১৫ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার জন্য ইউএনও দেয়া হয়নি। অপরদিকে পীরগঞ্জের এ্যাসিল্যান্ডকে দিয়ে ইউএনও’র কার্যক্রম চালানোর কারণে সরকারী গুরুত্বপুর্ন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারন মানুষ। পাশাপাশি পদাধিকার বলে যে সমস্ত সরকারী-বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইউএনও ম্যানেজিং কমিটি ও গভর্নিং বডির সভাপতি রয়েছেন, সেসব প্রতিষ্ঠানের বেতন বিলে স্বাক্ষর নিতে না পারায় তারাও ভোগান্তিতে পড়েছে। অপরদিকে প্রতিদিনই জমিজমা সংক্রান্ত খাজনা, খারিজ ও নামজারীতেও ভোগান্তির পাশাপাশি জমি ক্রয়-বিক্রয়েও সমস্যা হচ্ছে। এ ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউএনও এ্যাসিল্যান্ড আফতাবুজ্জামান বলেন, এ্যাসিল্যান্ড অফিসেই প্রায় ১০টি পদ শুন্য। আবার ইউএনও’র কাজও আমাকে করতে হচ্ছে। এজন্য সাধারন মানুষ ইউএনও অফিস এবং এ্যাসিল্যান্ড অফিস থেকে সময় মতো সঠিক সেবা পাচ্ছে না। রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) জাকির হোসেন মুঠোফোনে বলেন, পীরগঞ্জে ইউএনও’র ব্যাপারে আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়কে জানিয়েছি। তারা যখনই পোষ্টিং দিবে, তখনই আমরা পীরগঞ্জে ইউএনও দিবো।