লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার লামচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহেনারা পারবিনের বিরুদ্ধে ১০ টাকা মুল্যের চাল পরিবর্তনের নামে অর্থবানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার,সরকার দলীয় নেতা-কর্মী ও ভোক্তভুগীদের মাঝে চাপাক্ষোভ বিরাজ করছে।
সুত্রে জানায়,লামচর ইউনিয়নে ৭০৫ টি ১০টাকা মুল্যের চালে কার্ড রয়েছে। ওই কার্ডগুলো চেয়ারম্যান পরিষদের গ্রাম পুলিশদের মাধ্যমে যাচাই-বাচাইয়ের নাম করে সুবিধাভুগীদের কাছ থেকে ২ মাস পুর্বে উত্তোলন করে। চেয়ারম্যান কার্ড গুলেঅ নিয়ন্ত্রনে নিয়ে পরিষদের কোন মেম্বারকে না জানিয়ে নিজের ক্ষমতা ১৯১ টি কার্ড বাতিল করে এবং নিজেস্ব এজেন্টের মাধ্যমে সর্বনিম্ম ৫০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা করে নতুন কার্ড ইস্যু করে। কার্ড বাতিল হওয়ার বিষয়ে ভোক্তভুগিরা মেম্বারদের ধারস্থ হলে কোন সদোত্তর পাচ্ছে না। শুধু তাই নয় চেয়ারম্যান গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে মঙ্গলবার ও বুধবার দিনব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে ন্যায্য মুল্যের চালের কার্ড বিতরন সময় কার্ডধারীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে। গ্রাম পুলিশ রসুলপুর গ্রাম থেকে প্রতি কার্ড ৫০০ টাকা,কালিকাপুর গ্রাম থেকে প্রতি কার্ড ১৫০ টাকা,কাশিমনগর গ্রাম থেকে প্রতি কার্ড ১০০টাকা,দাসপাড়া গ্রাম থেকে প্রতি কার্ড ৫০০ টাকা,লামচর গ্রাম থেকে প্রতি কার্ড ১০০ টাকা,মজুপুর গ্রাম থেকে প্রতি কার্ড ৫০০ টাকা করে উত্তোলন করে। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার রেশমা রহমান,শামসুর নাহার,তারপুত্র ট্রাইফুর,দাসপাড়া ওয়ার্ড়ের সাবেক মেম্বার নুরুল হুদাসহ কয়েকজন এজেন্টের মাধ্যমে কার্ড বানিজ্য করে। দাসপাড়া গ্রামের তছলিম,করিম,খোরশেদ,মজিবর সহ কয়েকজন বলেন,রেশমা মেম্বার আমাদের কার্ড করে দিয়ে টাকা নেওয়ার পরে গ্রাম পুলিশ কার্ড দেওয়ার সময় আবার টাকা নিয়েছে। দাসপাড়া ওয়ার্ড়ের মেম্বার শামসুল ইসলাম,দক্ষিন কালিকাপুর ওয়ার্ড়ের আবুল কাসেম মেম্বার,উত্তর কালিকাপুর ওয়ার্ড়ের মেম্বার জহিরুল ইসলাম,রসুলপুর ওয়ার্ড়ের মেম্বার হোসেন আহম্মেদ,পানপাড়া গ্রামের আমির হোসেন মেম্বার,উত্তর দাসপাড়া ওয়ার্ড়েও আজাদ হোসেন মেম্বার বলেন,লামচর ইউনিয়নে ১৯১টি কার্ড পরিবর্তন করে নতুন কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। কার্ডগুলো কারা কি ভাবে পরিবর্তন করেছে পরিষদের মেম্বার হিসেবে জানতে পারি নাই। সংরক্ষিত ৪,৫ ও ৬ জন ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার রেশমা বলেন, কার্ড পরিবর্তনের বিষয়ে কিছুই জানি না। যাদের কার্ড বাতিল হয়েছে,তারা আমার উপর চাপ সৃষ্টি করাতে মেম্বার শামসুল ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এ ব্যাপারে লামচর ইউপির চেয়ারম্যান মাহেনারা পারবিন বলেন,ইউনিয়ন পরিষদে সকল মেম্বারদের উপস্থিতিতে মিটিং করে কার্ড বাতিল ও নতুন বই ইস্যু করা হয়েছে। এই জন্যে উপজেলাতে কিছু টাকাও দিতে হচ্ছে। গ্রাম পুলিশ বই বিতরনের সময় টাকা গ্রহনের বিষয়টি আমার জানা নেই। উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভুমি) ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মোঃ হুমায়ুন রশিদ বলেন,বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।