ইজারা ব্যাতিত স্থানে সরকারী জায়গায় অবৈধভাবে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার হাতিপাগাড় ও নাকুগাঁও এলাকায় বালু খেকোদের অবৈধ বালু উত্তোলনের মহা উৎসব চলছে।
সারাদশে ব্যাপি বালুর রমরমা ব্যবসার কারণে এ অঞ্চলের বালুর কদর ও চাহিদা বেশি হওয়ায় অনিয়ন্ত্রিত ভাবে খড়শ্রোতা ভোগাই নদীর বুক চিড়ে নদী হতে অব্যাহতভাবে বালু খেকোদার দ্বারা বালু উত্তোলনের কাজ চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এ বছর অতিবৃষ্টিপাতে কয়েক বারের বন্যায় নদীতে গভীর অংশ ভরাট হয়ে পূরন হওয়ার দিকে যাচ্ছে। এমন সময় বালু খেকোরা সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সরকারের ইজারা ব্যাতিত স্থানে দিনে রাতে মেশিন লাগিয়ে পাহাড়ের সমান উঁচু করে বালুর স্তুুপ করে বালু উত্তোলন কার্যক্রম ও দেদারচে বিপনন ব্যবস্থায় বালুর রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এই কয়েকদিনে যথেষ্ট বালু তারা উত্তোলন করে ফেলেছে এবং শতশত গাড়ী তারা লোড দিয়ে বালু বিক্রি ও বিপনন করে ফেলেছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে নীদর বুক চিড়ে বালু উত্তোলন ও খড়শ্রোতা ভোগাই নদীর অব্যাহত ভাংগনের ফলে নাকুগাঁও সীমান্তের ইমগ্রেশন এলাকায় ৫গজ ও নালিতাবাড়ী নাকুগাঁও হাতি পাগাড় এলাকায় ৩গজের কাছে নদী ভাংগন চলে এসেছে। এখন সময়ের অপেক্ষা। বড় কোন ঢল এলেই পানির তোড়ে যে কোন সময় বিলিন হতে পারে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সদ্য নির্মিত নালিতাবাড়ী নাকুগাঁও এর মহাসড়ক।
এব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মাহফুজুল আলম মাসুম বলেন, বালু উত্তোলনের ব্যাপারে অতিশীগ্রই অভিযান পরিচালিত হবে। আর মহাসড়কের কাছে নদীর যে ভাংগন নদী শাসন ব্যবস্থায় এটি পানি উন্নয়ন বোর্ড তদারকি করবে এবং নদীর তলদেশে জিও বস্তার প্যাক করে ব্যবস্থা নিতে হবে।