গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তীত রয়েছে। তবে বানভাসীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। সরকারী ভাবে ত্রান বিতরন করা হলেও তা যথেষ্ট নহে বলে সচেতন মহল অভিযোগ।
অ সময়ে টানা ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে গোবিন্দগঞ্জ করতোয়া নদীর কাটাখালী ব্রীজ পয়েন্টে বন্যার পানি বিপদ সীমার ১১৬ সেঃ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদীর বাঁধ ভাঙ্গা সহ পার উপচে গিয়ে গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের কয়েকটি ওয়ার্ডে সহ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত ইউনিয়ন গুলি হচ্ছে,কাটাবাড়ী,সাপমারা,দরবস্ত,গুমানীগঞ্জ,নাকাই,হরিরামপুর,ফুলবাড়ী,তালুককানুপুর,কোচাশহর,মহিমাগঞ্জ ও শালমারা ইউনিয়নের নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শনিবার সকাল পযর্ন্ত বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তীত রয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষ গবাদি পশু নিয়ে চরম বিপদে পড়েছে।
এসব এলাকার প্রায় শতাধিক গ্রাম ডুবে গিয়ে কয়েক হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পরেছে এবং হাজার হাজার হেক্টর আমন ধানের জমি পানিতে ডুবে গেছে। অন্য দিনে প্রায় অর্ধশত পুকুরের পাড় ডুবে যাওয়ায় লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ ভেসে গেছে বলে জানা যায়।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ বর্মন জানিয়েছেন এ পযর্ন্ত সকারি ভাবে ত্রান বরাদ্দ পাওয়া ৩৫ মে.টন চাল দূর্গতদের মাঝে বিতরন করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র আতাউর রহমান সরকার জানিয়েছেন,বরাদ্দ কৃর্ত চাল সহ ব্যক্তিগত তহবিল হতে আলু,ডাল,তেল পৌর সভার আলিয়া মাদ্রাসা ,বালিকা উচ্চবিদ্যালয় সহ কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্র সহ দুর্গত ওয়ার্ড গুলিতে ত্রান সামগ্রী বিতরন করেছেন।
বন্যার পানিতে গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পৌর শহরের পশ্চিম চারা মাথায় সড়ক ৩/৪ ফুট পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ায় বাস,ট্রাক সহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে সড়কটিতে নৌকায় যাতায়াত করছে মানুষ। সেই সাথে সড়কের দুপার্শ্বে দোকান পাট ,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।