পাবনার সুজানগরে একই জলমহাল একাধিক ব্যক্তির মাঝে অবৈধভাবে সাব-লিজ প্রদান করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে ওই জলমহালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন উপজেলার বস্তাল গ্রামের ইউসুফ আলীর উপর হামলা চালিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে দু’টি পা ভেঙ্গে দিয়েছে। এ ঘটনায় বেড়ার আমিনপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যেকোন জলমহাল সাব-লিজ দেওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তাছাড়া যিনি লিজ নিবেন তিনি প্রকৃত মৎস্যজীবী হতে হবে। কিন্তু উপজেলার বোনকোলা গ্রামের রতন মাস্টার তথ্য গোপন করে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে তার ছোট ভাই কৃষিজীবী জুলফিকার আলীর নামে অবৈধভাবে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিলের ১০৩ বিলগ-হস্তী জলমহাল ৬বছরের জন্য লিজ নিয়েছেন। শুধু তাইনা তিনি সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে অধিক লাভের আশায় ওই বিলগ-হস্তী জলমহালের বস্তাল অংশসহ মোট ৮টি অংশ অবৈধভাবে সাব-লিজ প্রদান করেছেন। ইতোমধ্যে বস্তাল জলমহাল বস্তাল গ্রামের একাধিক ব্যক্তির মধ্যে সাব-লিজ দেওয়ায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানান, ওই রতন মাস্টার বস্তাল জলমহাল কোনপ্রকার কাগজপত্র ছাড়া ওই গ্রামের ইউসুফ আলী এবং আবদুল আলীমসহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে অবৈধভাবে সাব-লিজ প্রদান করেছেন। গত সপ্তাহে ওই জলমহালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ওই ইউসুফ আলীর উপর হামলা চালিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তার দু’টি পা ভেঙ্গে দিয়েছে প্রতিপক্ষের মৎস্য শিকারীরা। এ ব্যাপারে রতন মাস্টার বলেন আমি নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমার ভাইয়ের নামে ১০৩ বিলগ-হস্তী জলমহাল লিজ নিয়েছি। তাছাড়া আমি কোন জলমহাল সাব-লিজ দেই নাই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওশন আলী বলেন কেউ সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে কোন জলমহাল লিজ নিলে বা সাব-লিজ দিলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।