জকিগঞ্জ পৌরসভার আগামী নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকার মাঝি হতে চান উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক, সাবেক পৌর কাউন্সিলর, সাবেক প্রয়াত মেয়র আনোয়ার হোসেন সুনা উল্লাহর পুত্র আবদুল আহাদ। দলীয় মনোয়ন পেয়ে বিজয়ী হলে সীমান্তঘেষা সুবিধা বঞ্চিত জকিগঞ্জ পৌরসভাকে উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করার প্রয়াসে ব্রত থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
তরুণ রাজনীতিবিদ আবদুল আহাদ বলেন, উন্নয়ন বঞ্চিত সচেতন জনগণ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের ভোটার, দলীয় নেতা কর্মী সমর্থকবৃন্দ আমাকে নির্বাচনে আসার জন্য উৎসাহিত করছেন। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে এলাকাবাসীর প্রতি নিজের দায়বদ্ধতা থেকেও আমি নির্বাচনে আসার আমার আগ্রহের বিষয়টি স্থানীয় সাংসদ হাফিজ আহমদ মজুমদার, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আহমদ আল কবির, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাকিম হায়দারসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সিনিয়র নেতাদের জানিয়েছি।
আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান আবদুল আহাদ বলেন, গত পৌরসভা নির্বাচনে আমি দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলাম তখন সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও মুরুব্বীয়ানদের অনুরোধে আমি সে নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছিলাম। গত উপজেলা নির্বাচনে আমি দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী ছিলাম। এবার আমি শতভাগ আশাবাদী দল আমাকে মূল্যায়ন করবে। ব্যক্তি স্বার্থে দুর্বল চিত্তের জনবিচ্ছিন্ন কাউকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হলে এবার নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী তা মেনে নেবে না।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের সমর্থক থাকার কারণে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী সর্বপ্রথম আমাদের পীরেরচকের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। আমার বাবা আনোয়ার হোসেন সুনা উল্লাহ তখন ভারতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেন। ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত হবার পর বাবা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তখন থেকে আমাদের উপর রাজনৈতিক নির্যাতন শুরু হয়। ১৯৮০ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৪ বছর সততার সাথে জকিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। জীবন সায়াহ্নে জকিগঞ্জের মানুষ তাকে ভালোবেসে পৌর মেয়র নির্বাচিত করেছিল। তিন বছর মেয়রের দায়িত্ব পালন করে তিনি অসুস্থ হয়ে পৌর মেয়র থাকাবস্থায় ইন্তেকাল করেন। আমার বড় ভাই আবদুল জলিল জকিগঞ্জ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের অন্যতম কান্ডারি ছিলেন। তাই ছোটবেলা থেকেই জয় বাংলা স্লোগান আর জাতিরজনকের আদর্শের সাথে পরিচিত। হাই স্কুলে পড়ার সময়ই তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। ২০০৬ সালে জকিগঞ্জ পৌরসভার প্রথম নির্বাচনে আবদুল আহাদ ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি জকিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রাজনীতির পাশাপাশি আবদুল আহাদ আমদানি রপ্তানি ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছেন। তিনি বলেন, বিগত দিনে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে শ্রম, সময় ও অর্থ ব্যয় করেছি। তাই আশা করি দলীয় নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে আমার পক্ষে কাজ করবে। সব শ্রেণি পেশার মানুষ আমাকে ভোট দিবেন ইনশাল্লাহ। প্রতিটি ওয়ার্ডে যোগাযোগ রাখছি। গণসংযোগ করছি। নির্বাচনের পুরো প্রস্তুতি নিচ্ছি। জনবান্ধব প্রতিনিধি হয়ে জনগণের প্রত্যাশাকে স্পর্শ করতে চাই। তাই নৌকার মাঝি হয়ে পৌরবাসীর সেবা করতে চাই। নির্বাচিত হলে টেকসই সমাজ উন্নয়নের লক্ষ্যে স্থানীয়দের পরামর্শ ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে শ্রেণি পরিবর্তনসহ নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির জন্য কাজ করবেন বলে জানান আবদুল আহাদ।