পদ্মায় পানি বৃদ্ধির কারণে প্রচন্ড স্রােতের তীব্রতা দেখা দিয়েছে। এতে ফের ৫দিনের মাথায় সদর উপজেলার গোদার বাজার ফেজ-১ এর দেড় শত মিটার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখান স্থানে বেড়ি শহর রক্ষা বেড়ি বাঁধের নিচে তীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ৩ থেকে ৪ হাজার সিসি ঢালাই ব্লক নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। প্রচন্ড ভাঙ্গনের হুমকিতে রয়েছে শহর রক্ষা বেড়ি বাঁধ। ইতমধ্যে শহর রক্ষা বেড়ি বাঁধের ৩০ থেকে ৪০ মিটারের মধ্যে ভাঙ্গন চলে এসেছে। বেড়ি বাঁধ সংলগ্ন এনজিএল ইট ভাঁটা সহ আরো ৫০০ মিটার এলাকার বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। একারনে এলাকাবাসী পদ্মার মারাত্বক ভাঙ্গন ঝুকির মধ্যে বসবাস করছেন।
শুক্রবার সকালে স্রােতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় এ স্থানে বালু ভর্তি জিও ব্যাগের বস্তা ফেলা হলেও ভাঙ্গন রোধে তা তেমন কোন কাজেই আসেনি। গত ৫ দিন আগে একই স্থানের বাম পাশে অবস্থিত ২০১৪ সালে নির্মিত রাজবাড়ীর একমাত্র বিনোদনের স্থান সৌন্দর্য বর্ধন ও ভ্রমন পিপাসুদের জন্যে নির্মিত বন্ধনের ছাতা ও পাকা ব্রেঞ্চ সহ এ এলাকার দেড় শত মিটার নদী গর্ভে বিলীন হয়। এ পর্যন্ত এ স্থানে ভাঙ্গন রোধে প্রায় ৭ হাজারেরও বেশি বালু ভর্তি বস্তা ডাম্পিং করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় কম এবং ধীর গতিতে বস্তা ফেলার কারণে নতুন করে এ স্থানে আবার ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। আর এতে ভুক্তভোগী হচ্ছেন নদী পারে বসবাসরত শত শত মানুষ। গত তিন বছরে এ স্থানের ফেজ-১ এর শহর রক্ষা বাঁধের প্রায় পৌনে দুই কিলোমিটার অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
এলাকাবাসিরা বলেন, সঠিক ভাবে পদক্ষেপ নিলে একই স্থানে বার বার নদী গর্ভে বিলীন হত বলে জানান এলাকাবাসি। একই স্থানে বার বার নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে কিন্তু ধীর গতিতে তারা কাজ করার কারণে এবং বালু ভর্তি বস্তা কম ফেলার কারণে এখন এ স্থান নদীতে ভেঙ্গে গেল। এতে মারাত্বক ঝুকির মধ্যে বসবাস করছেন তারা। এই ভাঙ্গন যদি না ঠেকানো যায় তাহলে শহর রক্ষা বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে হাজার হাজার মানুষ ক্ষতি গ্রস্থ হবে। কয়েক বছর ধরে নদী ভাঙ্গনের ফলে তারা এখন দিশে হারা। ভাঙ্গন ঠেকাতে কতৃপক্ষকে দ্রুত কাজ করা উচিত বলে মনে করেন এলাকাবাসি।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আহাদ বলেন, গত ২৮ সেপ্টেম্বর গোদার বাজারের ফেজ-১ স্থানে হঠাৎ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। সেদিন থেকেই ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নির্দেশনায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়। হঠাৎ নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পাওয়ায় পানির চাপে প্রটেকটিভ ওয়ার্ক ’এর স্থানে ভাঙ্গন দেখা দেয়। তবে ভাঙ্গন রোধে তারা সর্বাত্ব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আশা করছেন ভাঙ্গন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষে নিতে সক্ষম হবেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের চিফ মনিটরিং ও অতিরিক্ত মহা পরিচালক মোঃ তোফায়েল হোসেন ,দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী ওহিদ্জ্জামান চৌধুরী ভাঙ্গন কবলিত স্থান পরিদর্শন করেছেন। এ পর্যন্ত এ স্থানে ৭ হাজারেরও বেশি বালু ভর্তি জিও ব্যাগের বস্তা ডাম্পিং করা হয়েছে। ভাঙ্গন ঠেকাতে আরো বালু ভর্তি বস্তা ফেলা হবে।