কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের উত্তর নামা ফেকামারা ৭৫নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরী-দপ্তরী ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ চাকুরী নিতে গিয়ে প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, জালালপুর ইউনিয়নের উত্তর নামা ফেকামারা গ্রামের মোঃ কাজী মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ গত ২০০৭ সনে অষ্টম শ্রেণী পরীক্ষায় পাশ করে। ভাল ফলাফলের জন্য পুনরায় ২০১০ সনে অষ্টম শ্রেণি পরীক্ষা দিয়ে বাংলা ১ম ও বাংলা ২য় পরীক্ষার ফলাফলে ফেল আসে। সে ফেকামারা ফাজিল মাদরাসা থেকে ১ম বার পাস করে এবং ২য় বার ফেল করেছে বলে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে। কিন্তু ২টি সার্টিফিকেটের মধ্যে ১ম সার্টিফিকেটের তার জন্ম তারিখ ছিল ০১/০১/১৯৯৩ এবং ২য় পরীক্ষার ফেল সার্টিফিকেটে তার জন্ম তারিখ ছিল ০৮/০৭/১৯৯৭। এসব বিষয় নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, মোঃ কাজী মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ্ ২য় বার ফেল করে চাকুরী কিভাবে বহাল থাকে এ নিয়ে তাদের মধ্যে তুলকালাম কান্ড ঘটেছে বলে তারা প্রকাশ করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন গ্রামবাসীদের মধ্যে উত্তর নামা ফেকামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জমি দাতা পরিবারের সদস্যরা বলেন, স্কুল তাদের জায়গায়। তাদেরকে অগ্রাধিকার না দিয়ে কিভাবে ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ চাকুরী পেল এ নিয়ে তারা হতবাক হয়ে গেলেন। ফেকামারা ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মোঃ রফিকুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তিনি বলেন, শত শত ছাত্র ভর্তি হচ্ছে এবং পরীক্ষা দিচ্ছে সেটা খোঁজ রাখা খুব কঠিন। তিনি আরও বলেন, সে দুই বার পরীক্ষা দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতারণা করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। কটিয়াদী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লিয়াকত আলী খান বলেন, এভাবে যদি সে কাজ করে থাকে তাহলে আইন পরিপন্থী ও প্রতারণার শামিল। কটিয়াদী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ আহম্মেদ বলেন, যদি সে এ কান্ড করে থাকে তাহলে প্রতারণার শামিল। উত্তর নামা ফেকামারা ৭৫ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হযরত আলী এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী-কাম দপ্তরী ইব্রাহিম খলিলুল্লাহর চাকুরী বৈধ বলে তিনি উল্লেখ করেন।