নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নৃশংসভাবে এক নারীকে ধর্ষনসহ সারা বাংলাদেশে অব্যাহত ধর্ষন ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে ফেনীতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে বিভিন্ন সংঘটন।
সোমাবার বিকালে শহরের ট্রাংক রোড় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে প্রতিবাদ সমাবেশসহ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল, ফেনী ছাত্র-যুব ঐক্য, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র ও চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ বিভিন্ন সংগঠন।
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, যেখানে ছাত্রলীগ বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিধিত্ব করার কথা সেখানে তারা ধর্ষণে মেতে উঠেছে। দ্রুত এসব ধর্ষণেন ঘটনার বিচার করা না গেলে বাংলাদেশ ধর্ষণের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে।
ফেনী ছাত্র যুব ঐক্যের ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলের আহবায়ক আমের মক্কী বলেন, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ধর্ষকদের দ্রুত সময়ে বিচার করতে হবে। তারা তাদের মানববন্ধেন শ্লোগানদেন মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ার গর্জে উঠবে আরেকবার। বাংলাদেশের মাটিতে কোন ধর্ষকের স্থান নেই।
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র ও চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তাদের মানববন্ধন ও সমাবেশে বলেন, 'অন্যায় যখন নিয়ম হয়ে যায় প্রতিবাদ তখন কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়'। বাংলাদেশের মাটিতে এভাবে একটার পর একটা ধর্ষনের ঘটনা মেনে নেয়া যায়না। কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন, নয়ন পাশা, আহবায়ক, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ফেনী শহর শাখার আহবায়ক নয়ন পাশা, সাধারণ সম্পবদক পংকজনাথ সূর্য।
ইসলামী আন্দোলনের ফেনী জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা একরামু্র হক বলেন, সারাদেশে ধর্ষকরা বেপোরোয়া হয়ে গেছে। অধিকাংশ ধর্ষনের ঘটনায় সরকার দলের লোকজন জড়িত। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী একজন নারী তবুও দেশে নারীর প্রতি এমন বর্বর নৃশংসতা মেনে নেয়া যায়না।